সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাত বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধানে রোম দূতাবাস

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৮ ০৬ ০২  

সাত-বাংলাদেশির-মৃত্যুর-ঘটনা-অনুসন্ধানে-রোম-দূতাবাস

সাত-বাংলাদেশির-মৃত্যুর-ঘটনা-অনুসন্ধানে-রোম-দূতাবাস

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির লাম্পেডুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে নৌকায় তীব্র ঠান্ডায় বাংলাদেশি সাত অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধান করবে ইতালিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশের রোম দূতাবাস।

জানা গেছে, ইতালির কাতানিয়া ও পালেরমোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসালদের মাধ্যমেও বাংলাদেশ দূতাবাস প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান এবং যথোপযুক্ত করণীয় নির্ধারণের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

শনিবার ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) এরফানুল হকের নেতৃত্বে ও দূতাবাসের একজন ইতালি-ভাষী কর্মচারীসহ দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল দুর্ঘটনার পরদিনই ২৬ জানুয়ারি লাম্পেডুসা দ্বীপে পৌঁছায়। দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠান্ডা থাকার কারণে হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৭ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়, যারা বাংলাদেশের নাগরিক বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়। 

কাউন্সেলর এরফানুল হক ২৭ জানুয়ারি লাম্পেডুসার ডেপুটি মেয়র প্রেস্টিপিনো সালভাতোরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে মেয়র শহরের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে সাক্ষাত করা সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন> ভূমধ্যসাগরে ঠান্ডায় জমে ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু

সাক্ষাৎকালে তারা দুর্ঘটনার বিষয়ে ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করণীয় কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করেন এবং ইতালীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দূতাবাসের নিবিড় সমন্বয়ের বিষয়ে মতবিনিময় করেন। ২৮ জানুয়ারি সকাল ১১টায় কোস্টগার্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দূতাবাসের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। সিসিলি প্রদেশের অ্যাগ্রিজেন্তো এলাকায় অবস্থিত মর্গে ৭টি লাশ ফেরত পাঠানো দাফন করার আগ পর্যন্ত রাখা হবে বলে জানা গেছে।  

মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। লাশ পরিদর্শনের জন্য আদালতের অনুমতির বাধ্যবাধকতা থাকায় এখনো সরেজমিনে লাশগুলো দেখা সম্ভব হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধারকরাদের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিদল তাদের সঙ্গে কথা বলেছে।

ইতালীয় সূত্রের প্রাথমিক তথ্যমতে অভিবাসন প্রত্যাশী ২৮৭ জনের মধ্যে ২৭৩ জন ছিলেন বাংলাদেশি যাদের মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন এবং অন্যরা মিশরীয় নাগরিক।

সংশ্লিষ্ট সবাইকে অসাধু মানবপাচারকারী চক্র থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানানোর সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য দূতাবাস ইতালির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি লাম্পেডুসা দ্বীপে যাওয়ার সময় দীর্ঘক্ষণ তীব্র ঠাণ্ডায় ৭ বাংলাদেশ নাগরিক মারা যান।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর