রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইতালিতে শ্রমিক নেয়ার গেজেট প্রকাশ, তালিকায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২২ ১৮ ০৬ ০২  

ইতালিতে-শ্রমিক-নেয়ার-গেজেট-প্রকাশ-তালিকায়-বাংলাদেশ

ইতালিতে-শ্রমিক-নেয়ার-গেজেট-প্রকাশ-তালিকায়-বাংলাদেশ

ইতালিতে ৬৯ হাজার ৭০০ শ্রমিক নেয়ার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি অফিসিয়াল গেজেটটি প্রকাশ করা হয়।

শ্রমিক নিতে ১২ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে আবেদন জমা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে ভিন্ন তারিখে আবেদন জমা নেয়া হবে। এরমধ্যে নন-সিজনাল ২৭ জানুয়ারিতে এবং সিজনাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন জমা নেয়া হবে। এভাবে একটানা ১৭ মার্চ পর্যন্ত আবেদন জমা নেয়া হবে।

নন-সিজনাল ভিসায় যারা আসবে তারা দুই বছরের স্টে-পারমিট পাবে এবং যারা সিজনাল ভিসায় আসবে তারা নয় মাসের বৈধতা পাবে।

জানা গেছে, এ বছর সাধারণ স্পন্সরে বাংলাদেশিদের জন্য ইতালিতে আবেদন করা অনেক কঠিন হবে। এর অন্যতম কারণ- যেসব ক্ষেত্রে নন-সিজনাল স্পন্সর দিয়েছে এসব সেক্টরে বাংলাদেশি তেমন মালিকানা নেই। যেমন:- কনস্ট্রাকশন, ভারী পরিবহন, পর্যটন এবং বড় হোটেল। এসব ব্যবসায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা তেমন একটা আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। এ সেক্টরে বিভিন্ন দেশ থেকে ২৭ হাজার ৭০০ শ্রমিক যাবে। এরমধ্যে ১৭ হাজার নির্দিষ্টভাবে আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, কোরিয়া (রিপাবলিকা ডি কোরিয়া), কোস্টা ডি আভোরিও, এগিট্টো, এল সালভাদর, ইটিওপিয়া, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা, জিয়াপ্পোন, গুয়াতেমালা, ভারত, কসোভো, মালি, মারোক্ক, মরিশাস, মোল্দোভা, মন্টিনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, রিপাবলিকা ডি ম্যাসেডোনিয়া দেলনর্ড, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলংকা, সুদান, তিউনিসিয়া, ইউক্রেন রয়েছে।

অন্যদিকে, সিজনাল ভিসায় ৩১ দেশ থেকে ৪২ হাজার শ্রমিক যাবে ইতালি। এ সেক্টরে বেশ সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে ২০২০ সালের সিজনাল ভিসা এখনো তেমন একটা বের হতে দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে এবছর জমা দেওয়ার পর কতটা স্পন্সর বের হবে এ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বিভিন্ন মহলে। 

এ ব্যাপারে আইন পরামর্শক অ্যাডভোকেট আনিচুজ্জামান আনিস বলেন, ইতালিতে ২৭ জানুয়ারি ঘোষিত নন-সিজনাল (স্পন্সর) ভিসার আবেদন গত বছরগুলোর ন্যায় উম্মুক্ত নয়। এবার এখানে শুধুমাত্র তিন ক্যাটাগরিতে জমা দিতে পারবে। কনস্ট্রাকশন, ভারী যানবাহনের চালক, বড় আবাসিক হোটেল ও পর্যটনে ক্ষেত্রে লোক আবেদন করতে পারবে। এখানে উল্লেখিত ক্যাটাগরির মালিকদের সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসিদের তেমন সম্পর্ক নেই বললেই চলে। সে কারণে স্পন্সরে আবেদন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে কৃষিকাজের সিজিওনাল ভিসার আবেদন করা অনেকটা সহজ। ভালো মালিক পেলে চার থেকে পাঁচ মাসের ভেতর নুল্লাঅস্তা (ভিসা) পাওয়া সম্ভব।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর