সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গভীর ভালোবাসা ও উৎসবের আমেজে ইতালিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপিত

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২১ ০০ ১২ ০২  

গভীর-ভালোবাসা-ও-উৎসবের-আমেজে-ইতালিতে-বঙ্গবন্ধুর-জন্মদিন-উদযাপিত

গভীর-ভালোবাসা-ও-উৎসবের-আমেজে-ইতালিতে-বঙ্গবন্ধুর-জন্মদিন-উদযাপিত

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস। 

ডিজিটাল প্লাটফর্মে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন, বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, গ্রাফিক নোভেল প্রদর্শন এবং দেশি-বিদেশি আলোচকদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের পরে দূতাবাসের সভাকক্ষে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর নির্মিত একটি গ্রাফিক নোভেল প্রদর্শিত হয়। গ্রাফিক নোভেলটি প্রদর্শনের পরে সুস্মিতা সুলতানার নির্দেশনায় ইতালিতে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাংস্কৃতিক সংগঠন - সঞ্চারি সংগীতায়নের শিশু-কিশোরদের ধারণকৃত একটি মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশিত হয়।

আলোচনা সভায় সম্প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ইতালির নাগরিক ভিসেনজো ফালকোনে এবং তার স্ত্রী গ্রাজিয়েল্লা মেলানো লাউরা এ দিনটি উপলক্ষে তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তারা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন এবং সাতক্ষীরা জেলায় ঋশিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠা করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব এবং সাংবাদিকরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। 

আলোচকগণ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় গৌরবান্বিত জীবনের ওপর আলোকপাত করে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না মর্মে উল্লেখ করেন। বক্তাগণ বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালবাসতেন, তাই আনন্দঘন এ দিনটিকে সরকার জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করছে।

রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেননি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তি সংগ্রামেও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও মানুষকে প্রেরণা যোগাবেন। 

তিনি আরো বলেন, ২০২১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ হওয়ায় এ বছরটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করা। গণমানুষের এ অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সারা জীবন আন্দোলন করেছেন এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে তাঁর কেটেছে প্রায় ১৩ বছর। বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গেঁথেছিল যার ফলে বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর কিশোর জীবনে কিভাবে তাঁর মানবিক গুণাবলি ও শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে তা তুলে ধরেন।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ী শিশু-কিশোরদের নাম ঘোষণা করা হয়।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর