সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সৌদিতে মালিকের ছেলের নির্যাতনে জন্ম নিলো সন্তান, দিতে চান দত্তক

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২১ ০০ ১২ ০২  

সৌদিতে-মালিকের-ছেলের-নির্যাতনে-জন্ম-নিলো-সন্তান-দিতে-চান-দত্তক

সৌদিতে-মালিকের-ছেলের-নির্যাতনে-জন্ম-নিলো-সন্তান-দিতে-চান-দত্তক

নিজ ও পরিবারের ভাগ্য বদলের আশায় দুই বছর আগে গৃহকর্মীর কাজের ভিসায় সৌদি আরবে গিয়েছিলেন এক নারী। নির্যাতনের শিকার হয়ে ৬ মাস বয়সী শিশু সন্তানসহ ওই নারী দেশে ফিরেছেন। সন্তানের বাবার পরিচয় কী দেবেন, এ লজ্জায় শিশুটিকে দত্তক দিতে চান তিনি। 

আপাতত ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে থাকলেও লজ্জায় আপনজনদের কাছে যেতে পারছেন না। সন্তান জন্মের আগে-পরে ভয়াবহ সেই নির্যাতন ও কষ্ট হার মানায় সিনেমার গল্পকেও। 

ওই নারী বলেন, বিদেশ থেকে যদি একটা বাচ্চা নিয়ে আসি তাইলে মানুষ কী বলবে? বলবে স্বামী নেই তাহলে বাচ্চা আসলো কীভাবে। আমি চাচ্ছি বাচ্চাটা কাউকে দিতে। দিলে অনেক দিক দিয়ে সুবিধা হবে। যত্নের দিক দিয়েও অনেক সুবিধা পাবে বাচ্চাটা।

তিনি আরো জানান, বাড়ির মালিকের বড় ছেলে আমার ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দিতো। তারপর আমার গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমাকে নির্যাতন করতো। মাঝে মাঝে বাথরুমে আটকে রেখেও আমাকে নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে যৌন নির্যাতনের সঙ্গে সঙ্গে ওরা শারীরিক নির্যাতন চালাতো। বাচ্চা যেনো নষ্ট হয় যায়, এজন্য তল পেটে লাথি দিত, ভারি কাজ করতে দিত।

বিদেশ জীবনের কাজের শুরু থেকেই তিক্ত অভিজ্ঞতা তার। শত চেষ্টাও সম্ভ্রম আগলে রাখা সম্ভব হয়নি। গৃহকর্তার বড় ছেলের নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে মিথ্যা অভিযোগে পাঠানো হয় স্থানীয় জেলে। 

সেই জেলেই তিন মাস পর জন্ম হয় ফুটফুটে ছেলে সন্তানের। নানা চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে দেশে ফিরলেও এখনও এক দণ্ড শান্তি নেই মায়ের চোখে।

বেসরকারি সংস্থা ব্রাক এগিয়ে এসেছে ওই নারীর সহযোগিতায়। নির্যাতনের শিকার হলেও রিক্রুটিং এজেন্সি আলবি ইন্টারন্যাশনাল কোনো খোঁজ নেয়নি। এই নারী তাদের মাধ্যমে যায়নি বলেও অস্বীকার করেন এর স্বত্বাধিকারী।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর