সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সোনার বাংলা’ নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভারতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপিত

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২১ ০০ ১২ ০২  

সোনার-বাংলা-নির্মাণের-স্বপ্নকে-বাস্তবায়নের-লক্ষ্যে-ভারতে-বঙ্গবন্ধুর-জন্মদিন-উদযাপিত

সোনার-বাংলা-নির্মাণের-স্বপ্নকে-বাস্তবায়নের-লক্ষ্যে-ভারতে-বঙ্গবন্ধুর-জন্মদিন-উদযাপিত

‘সোনার বাংলা’ নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করার সংকল্প নিয়ে নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে। 

এ উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনটি সূচনা করেছিলেন। পরবর্তীতে মুহাম্মদ ইমরান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের বার্তা পাঠ করা হয়।

সভার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বলেন, ১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডের দ্বারা বঙ্গবন্ধুর আলোকিত জীবন হ্রাস পেয়েছিল কিন্তু তাঁর উত্তরাধিকার ও আদর্শ বাঙালি জাতিকে চিরকালই অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা, তাই তিনি সফলও হয়েছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের আমাদের জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি সম্পর্কে আরও জানাতে হবে, যাতে তারা তাঁর স্বপ্ন সোনার বাংলায় আমাদের দেশকে রূপান্তর করতে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে পারে।

এসময় দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ, দূতাবাস কর্মকর্তা মিনিস্টার (রাজনৈতিক) মো: নুরুল ইসলাম ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

বঙ্গবন্ধু এবং যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে দুর্ভাগ্যজনক নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিল তাদের বিদেহী আত্নার শান্তি কা্মনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। 

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস হিসাবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে চিত্রাকন প্রতিযোগিতা, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হাই কমিশন। দূতাবাসের শিশুরা চিত্রাঙ্কন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ প্রবন্ধ রচনায় অংশ নিয়েছিল। পরে হাই কমিশনার শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন। 

নয়াদিল্লীস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সম্মেলন, সাংস্কৃতিক উত্সব এবং শিল্প প্রদর্শনী সহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দূতাবাস বঙ্গবন্ধুর স্মরণে একটি কফি টেবিল বই প্রকাশ করবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর