সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুদানে গার্লস স্কুলে নির্মিত হলো শহিদ মিনার

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০ ১২ ০২  

সুদানে-গার্লস-স্কুলে-নির্মিত-হলো-শহিদ-মিনার

সুদানে-গার্লস-স্কুলে-নির্মিত-হলো-শহিদ-মিনার

আফ্রিকার দেশ সুদানের দারফুর প্রদেশের আল কিদা গার্লস স্কুলে একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। দেশটিতে প্রথমবারের মতো ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ এই শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়।

২১ ফেব্রুয়ারি দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় উনামিড মিশনের পুলিশ চিফ অব স্টাফ জেনারেল আমাদো মান্নাহ প্রধান অতিথি হিসেবে শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের একক প্রচেষ্টায় শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। তিনি সুদানের উত্তর দারফুরে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই শহিদ মিনারটি আল কিদা গার্লস স্কুলে স্থাপনের কাজ করেন। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য শহিদ মিনারটি উন্মুক্ত করা হয়।

শহিদ মিনারটি উদ্বোধন করার পর বাংলাদেশ পুলিশ, স্কুলের শিক্ষক-ছাত্রী, উনামিড শান্তিরক্ষা মিশনের কর্মকর্তা, সুদান পুলিশের সদস্যরা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১০ ফুট লম্বা এই শহিদ মিনারটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে।

শহিদ মিনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোনা বাদুই আব্দেল, উত্তর দারফুরে লিয়াজো অফিসার কর্নেল আমির ও ব্যানএফপিইউ কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম।

সুদানিজ ভাষা আরবি হওয়ায় অনুবাদের ও সঞ্চালনায় ছিলেন মিশরের পুলিশ মেজর ইসলাম কান্দেল। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান শিক্ষিক শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।

তিনি বলেন, শহিদ মিনার নির্মাণের মাধ্যমে সুদান ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করবে। উনামিড চিফ অব স্টাফ জেনারেল আমাদো মান্নাহ আজকের অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক দিন বলে আখ্যা দেন এবং শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এরপর মুজিববর্ষের লোগো ও শহিদ মিনারের ছবি সম্বলিত আট শতাধিক শিক্ষা উপকরণ আল কিদা গার্লস স্কুলে দেয়া হয়।

ব্যানএফপিইউ কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম স্বাগত বক্তব্যে মহান ভাষা দিবসের ওপর সংক্ষিপ্ত ধারণা দেন। তিনি বলেন, আমরা মিশন অঞ্চলে এরই মধ্যে দারফুরের নিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয় ও খার্তুম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালি জাতির পিতাকে পরিচিতি করার উদ্দেশ্যে শতাধিক বই বিতরণ করি এবং চারটি স্কুলে নানা ধরনের শিক্ষা উপকরণও বিতরণ করেছি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুক মিয়া বলেন, বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট সুদানের যুদ্ধবিধস্ত প্রদেশ দারফুরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সুদানিজ ভাষায় ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ সঙ্গীত পরিবেশন করে। এর আগে মহান ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পের শহিদ মিনারে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের সব সদস্য পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর