মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাল্টা থেকে ৪৪ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২১ ১৮ ০৬ ০৮  

মাল্টা-থেকে-৪৪-বাংলাদেশিকে-ফেরত

মাল্টা-থেকে-৪৪-বাংলাদেশিকে-ফেরত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত দেশ মাল্টা থেকে চলতি সপ্তাহে ৪৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সরকার। বিশেষ একটি ফ্লাইটে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। তারা সবাই রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন মাল্টা সরকারের কাছে। তবে দেশটিতে কোনো দূতাবাস বা কনসুলেট অফিস না থাকায় গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ সব কাজ করে থাকে। 

প্রায় দেড় বছর রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করার পর গত ১২ জানুয়ারি মাল্টা প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনুমানিক রাত ১১টার দিকে একটি ফ্লাইটে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয় তাদের।

এ বিষয়ে গ্রিস এথেন্স বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. খালেদ জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউর একটি চুক্তি হয়। ‘স্ট্যান্ডার অপারেটিং প্রসিডিউর ফর রিটার্ন অব ইরেগুলার বাংলাদেশি ন্যাশনাল লিভিং ইন ইউরোপ’ এই চুক্তির আওতায় যেসব বাংলাদেশি অভিবাসীরা ইউরোপ বা মাল্টায় প্রবেশ করে যদি আইনি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করার পরও বৈধ হতে না পারেন সেক্ষেত্রে সেই দেশের সরকার অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ সরকার তাদের ফেরত নেবে।

তিনি আরো জানান, ফেরত বাংলাদেশিদের জেনেভা কনভেনশনের যথাযথ নিয়ম মেনে দেশে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন মাল্টা সরকারের কাছে। কিন্তু তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের উপযুক্ত তথ্য না থাকায় মাল্টা সরকার তাদেরকে ফেরত পাঠায়। এখানে দূতাবাসের করণীয় কিছু নেই। এসব বাংলাদেশিরা লিবিয়ায় ছিলেন। পরে লিবিয়া হয়ে মাল্টা প্রবেশ করেন।

এক ভিডিও বার্তায় ফেরত বাংলাদেশিরা অভিযোগ করেন, দূতাবাস তাদের সহযোগিতা না করে বরং রাতের আঁধারে তাদের দেশে পাঠাতে ট্রাভেল পাস দেয়।

এ বিষয়ে বিষয়ে দূতাবাসের কাউন্সিলর বলেন, তারা দূতাবাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কথা বলতে পারেন। কিন্তু দূতাবাস আইনের বাইরে কোনো সহযোগিতা করবে না। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ফেরত বাংলাদেশিদের প্রত্যেককে সাড়ে তিন হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে। যেন তারা নিজ গন্তব্যে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে। এ ব্যাপারে দূতাবাস সহযোগিতা করেছে।

সম্প্রতিকালে মাল্টা সরকার একটি ঘোষণা দিয়েছে, বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের চুক্তিতে প্রবেশের সুযোগ দেবে। যার ফলে এই সুযোগটা যেন হাত ছাড়া না হয় সেই দিকে গ্রিস দূতাবাস নজর রাখছে। গ্রিসের দূতাবাসের সূত্র অনুসারে এ পর্যন্ত মাল্টায় কমপক্ষে প্রায় ৩৭০ জন বাংলাদেশি জেলে রয়েছে। যাদের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাখ্যান হয়েছে তাদের ধাপে ধাপে পাঠানো হচ্ছে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এসওপি অনুস্মরণ করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের অনিয়মিত নাগরিকদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফেরত পাঠাতে ৩০ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করা হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায় জার্মানসহ ইইউর অন্যান্য দেশ থেকে অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো কার্যক্রম শুরু করে সর্বশেষ মাল্টার ৪৪ বাংলাদেশিকে এসওপির অধীনে ফেরত পাঠানো হলো।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর