সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশে দেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২১ ০০ ১২ ০২  

দেশে-দেশে-বঙ্গবন্ধুর-জন্মশতবার্ষিকী-উদযাপন

দেশে-দেশে-বঙ্গবন্ধুর-জন্মশতবার্ষিকী-উদযাপন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপিত হয়েছে।

গ্রিসের এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে গতকাল বুধবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। দূতাবাস চত্বর আলোকচিত্র, বর্ণাঢ্য ব্যানার, পোস্টার ও বেলুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবারের শিশু-কিশোরদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত এবং তার সহধর্মিণী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কেক কাটেন।

এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া জাতির পিতার কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

দিবসের কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, বাংলাদেশের শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

নিউইয়র্ক: জাতিসংঘ মিশন ও কনস্যুলেটে

জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্ক এর যৌথ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সকালে স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেট স্ব স্ব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু করে। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, মুক্ত আলোচনা এবং জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এবং কনস্যুলেট জেনারেল-এর অডিটোরিয়ামে আলাদা আলাদাভাবে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শাহাদাতবরণকারী  সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বিকালে স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে শিশুদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয় শিশু আনন্দমেলা। এতে নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন এবং ‘নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে পত্রলিখন’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

বিকালের এই ভার্চুয়াল আয়োজনে জাতির পিতার জন্ম থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার অবদানের ওপর একটি শিশুতোষ গ্রাফিক্স ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এছাড়া শিশুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক এর কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেছা।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে জাতির পিতা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের উপহার দিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন সম্বন্ধে অবহিত করা এবং শিশুকাল থেকেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অভিভাবকসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

এ সময় রাবাব ফাতিমা শিশুদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি পাঠ করে শোনান।

যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপনওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

আয়োজনের শুরুতে রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা দূতাবাসে অবস্থিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.  শাহরিয়ার আলম এর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সব সদস্যের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শের ওপর আলোকপাত করে সমাপনী বক্তব্যে প্রদান করেন।

ব্রাজিল

ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ১৬ ও ১৭ মার্চ দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাংলাদেশি শিশুরা বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতাতে অংশ নেন। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সামিয়া ইসরাত রনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশু কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের পর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহিদ, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ, ভাষা আন্দোলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একাধিক আলেখ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সামিয়া ইসরাত রনি সমবেত শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

কানাডা

কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়

বুধবার অনুষ্ঠানের শুরুতে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুসহ সব শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুর, কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স।

আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও তার জীবনাদর্শ তুলে ধরেন। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং শিশু-কিশোরদের রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান  করা হয়।

নাইজেরিয়া

আজকের চ্যালেঞ্জিং সময়ে আফ্রিকাসহ বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন প্রাসঙ্গিক: আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

আজকের চ্যালেঞ্জিং সময়ে আফ্রিকাসহ বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল-রাশিদ না’আল্লা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে নাইজেরিয়ার আবুজা বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেমিনারে পররাষ্ট্রনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং সমগ্রবিশ্বে মানবমুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনার ওপর আলোকপাত করা হয়। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়া স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর মুসা ওলাওফে অংশ নেন।

উপাচার্য না’আল্লা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু একজন দূরদর্শী মহান নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক দৃঢ়তা-ই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেয় এবং আজকের বাংলাদেশকে উপহার দেয়। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আবুজা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন একযোগে কাজ করবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মূলপ্রবন্ধে প্রফেসর মুসা ওলাওফে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

ডেনমার্ক   

যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্যে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।

বুধবার সকালে ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

সন্ধ্যায় অনলাইন মাধ্যমে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডেনমার্কের সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন  শ্রেণি-পেশার ও মানুষ ব্যক্তিরা অংশ নেন।

শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয় ও একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও বিভিন্ন স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

ইস্তাম্বুল

তুরস্কের দৃষ্টিহীনদের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে পরিচিত করতে ত্রিমাত্রিক ভাষ্কর্য তৈরির আগ্রহ 

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনস্বরূপ তুরস্কের দৃষ্টিহীনদের সঙ্গে এই মহান নেতাকে পরিচিত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর একটি বিশেষ ত্রিমাত্রিক কাঠামো তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্কের লায়ন্স ক্লাব ইস্তাম্বুল।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে বুধবার ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২১’ উদযাপনকালে এ আগ্রহের কথা জানায় সংগঠনটির সভাপতি ফেরিত একিঞ্জি।

দিবসটি উপলক্ষে কনস্যুলেট জেনারেল লায়ন্স ক্লাব ইস্তাম্বুলের সঙ্গে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু: আইকন অব হিউম্যানটি’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে। যেখানে লায়ন্স ক্লাবের সদস্যরা অংশ নেন।

কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সূচনা বক্তব্যে স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। 

এ সময় ড. ইসলাম স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর অনন্য ভূমিকা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন। মানুষের প্রতি বিশেষ করে সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ভালবাসা এবং অগাধ স্নেহের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বিকালে কনস্যুলেট ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কনস্যুলেটের ‘ফ্রেন্ডশিপ’ হলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত বিশেষ ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। শিশুদের উপস্থিতিতে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

উল্লেখ্য, কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর