সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাপানের তিন মসজিদের ইমাম বাংলাদেশি তিন ভাই

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০১৯ ১৮ ০৬ ০১  

জাপানের-তিন-মসজিদের-ইমাম-বাংলাদেশি-তিন-ভাই

জাপানের-তিন-মসজিদের-ইমাম-বাংলাদেশি-তিন-ভাই

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার চাপ গ্রামের ক্বারী বেলাল হোসাইনের দুই ছেলে এবং মেয়ে জামাই জাপানের তিনটি মসজিদে নামাজ পড়ান।

মাওলানা শরাফাতুল্লাহ নদভী ইসলামী স্কলারস হিসেবে জাপানের টোকিও ওসাকা সাইতামা, গামো এলাকাতে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত আছেন। 

ঢাকা জামিআ রাহমানিয়া মাদরাসা হতে দাওরায়ে হাদিস মাস্টার্স করেন মাওলানা শরাফাতুল্লাহ নদভী। এরপর ১৯৯৬ সালে ভারতের লক্ষনো তিন বছর আল্লামা আবুল হাসান আলি নদভী (রহ.) নিকট আরবী সাহিত্য ও আলামিয়াত ডিগ্রি অর্জন করেন।

দারুল এহসান ইউনিভার্সিটি হতে অনার্স ও মাস্টার্স করেন প্রথম বিভাগে। এরপর বাংলাদেশ হতে প্রথম স্থান অর্জন করে মিশরের জামিয়া আজহারে গমন করেন। সেখান থেকে হায়ার ডিপ্লোমা করেন দাওয়াত ও আরবি ভাষায়, ১৯৯৯ সাল হতে মাদরাসাতুল হুদা ঢাকার শিক্ষাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

মাওলানা শরাফাত উল্লাহ্ নদভী বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশ ভ্রমণ করেন এ্ং বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। তুরস্কের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পবিত্র কাবার গিলাফ হাদিয়া পান তিনি।

হাফেজ মাওলানা আরাফাতুল্লাহ দুই বছর যাবত জাপানের মিসাতু সাইতামা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ইন্টারভিউর মাধ্যমে উত্তীর্ণ হন। এবং জাপান ব্যবসায়ী কমিটির আমন্ত্রণে জাপানের ভিসা পেয়ে ওখানে যান। 

শরাফত উল্লাহ্ বলেন, জাপানে সবাই হাফেজ-আলেমদেরকে সম্মান করেন। অমুসলিমরাও সম্মান করেন। জাপান একটি সাজানো-গোঁছানো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন দেশ। তার স্বপ্ন বাংলাদেশের জনগণও সচেতন হলে এমন একটি পরিচ্ছন্ন দেশ হবে। তিনি এখানে চারটি ভাষায় দাওয়াতি কাজ করেন। সবচেয়ে খুশির বিষয় হল দুইজন অমুসলিমকে তিনি কালেমা পড়িয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করান। 

১৯৯৪ সালে জামিআ আশরাফিয়া মাহমুদিয়া সেরাজাবাদ মাদরাসা, টংগিবাড়ী, মুন্সিগন্জ থেকে কোরআনের হাফেজ হন। কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ দাওরায়ে হাদীস পাস করেন।

হাফেজ মাওলানা শরাফত উল্লাহ্ ও আরাফাত উল্লাহর ভগ্নিপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি হাবিব আহমাদ খান ইকবাল। একই জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার ঘাশিপুকুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান খানে ছেলে।

যাত্রাবাড়ি জামিয়া মাদানিয়া বড় মাদরাসা হতে হিফজ সমাপন করেন ২০১০ সালে দাওরা পাস করেন। ২০১২ সালে ইফতা সম্পন্ন করেন, তার পরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাতুল রুহামার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। 

সুন্দর ও আকর্ষণীয় কোরআন তেলাওয়াতের অধিকারী মাওলানা হাবিব খান ২০১৩ সালে তারাবির নামাজ পড়ানোর জন্য জাপান গমন করেন। তার পর থেকে স্থায়ীভাবে ইমাম ও খতিব হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। বর্তমানে টোকিও কামাতা মসজিদে ইমাম খতিব হিসেবে আছেন এবং জাপানের অনেক দাওয়াতি কাজে জড়িত রয়েছেন।



দৈনিক প্রভাতী/এমকে

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর