বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৩১ বিয়ের বিবাহবিচ্ছেদ ৩০! গিনেস বুকেও নাম লেখান এ পাদ্রি

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২ ১২ ০২  

৩১-বিয়ের-বিবাহবিচ্ছেদ-৩০-গিনেস-বুকেও-নাম-লেখান-এ-পাদ্রি

৩১-বিয়ের-বিবাহবিচ্ছেদ-৩০-গিনেস-বুকেও-নাম-লেখান-এ-পাদ্রি

কারো সঙ্গে ঘর করেছেন ১৯ দিন, কারো সঙ্গে টানা ১১ বছর। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বার বিয়ে করে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন গ্লিন উলফ। গ্লিন ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা এবং ব্লাইদ এলাকার একটি গির্জার পাদ্রি ছিলেন। তবে পেশাগত কারণে নয়, তিনি অন্য কারণে নজির গড়েছিলেন। বারবার বিয়ে করেছেন, আবার বিবাহবিচ্ছেদও হয়েছে বারবার।

নয় নয় করে মোট ৩১টি বিয়ে করেছিলেন গ্লিন। ৩১ জন নারীর মধ্যে তিনজন এমনও ছিলেন যাদের তিনি আগেও বিয়ে করে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। গ্লিনের পাঁচ স্ত্রী অসুস্থতার কারণে মারা যান। ১৯২৬ সালে মার্সি ম্যাকডোনাল্ড নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন গ্লিন। বিয়ের এক বছর পর মার্সি মারা যাওয়ায় তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিস্টিন কামাচো তার ২৮তম স্ত্রী ছিলেন। তার সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের জন্যে সংসার করেছিলেন গ্লিন। ক্রিস্টিন ও গ্লিনের বয়সের ব্যবধান ছিল ৩৭ বছর। ১১ বছর একসঙ্গে থাকার পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তবে গ্লেনের বিচ্ছেদের কারণগুলোও অন্যরকম। বিয়ের পর গ্লিনের টুথব্রাশ ব্যবহার করেন তার এক স্ত্রী। সেই কারণে তাদের ডিভোর্স হয়। স্ত্রী বিছানায় বসে সূর্যমুখীর বীজ খাচ্ছিলেন, স্রেফ এ কারণে এক স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তার ৩১তম স্ত্রী ছিলেন লিন্ডা উলফ। লিন্ডার কাহিনিও ভিন্ন। তিনি ২৩ জন পুরুষকে বিয়ে করে গিনেস বুকে নজির গড়েছিলেন।

অনেকের মতে, শুধুমাত্র খবরে আসার জন্য গ্লিন ও লিন্ডা বিয়ে করেছিলেন। বিয়ে করার এক সপ্তাহ পরই লিন্ডা ইন্ডিয়ানায় ফিরে যান। গ্লিন থেকে যান ক্যালিফোর্নিয়ায়। 

নিজের ৮৯তম জন্মদিনের ৪৫ দিন আগে মারা যান গ্লিন। গ্লিনের সঙ্গে দেখা করতে ক্যালিফোর্নিয়া আসছিলেন লিন্ডা। ক্যালিফর্নিয়ায় নেমে তিনি জানতে পারেন তার স্বামী মারা গিয়েছেন।

লিন্ডা জানান, তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী উদ্‌যাপন করতেই আসছিলেন তিনি। তার ১০ দিন আগেই মারা যান গ্লিন।

১৯৯৭ সালে ৮৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গ্লিন। তার ১৯ জন সন্তান, ৪০ জন নাতি এও১৯ জন পুতি থাকা সত্ত্বেও তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে কেউই আসেননি।

লিন্ডা জানান, তার কাছে শেষকৃত্যে খরচ করার মতো পয়সা নেই। তাঁ ছেলেদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারাও জানান, যা বেতন পান তা দিয়ে খরচ মেটানো সম্ভব নয়। 

তবে গ্লিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৩৬ ডলার ছিল। তা দিয়েই কাউন্টির পক্ষ থেকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

-আনন্দবাজার পত্রিকা

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর