বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধের আহ্বান আইজিপির

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫ ০৫ ০২  

সুন্দরবনে-বিষ-দিয়ে-মাছ-ধরা-বন্ধের-আহ্বান-আইজিপির

সুন্দরবনে-বিষ-দিয়ে-মাছ-ধরা-বন্ধের-আহ্বান-আইজিপির

সুন্দরবনের খালগুলোতে বিষ, চাইনিজ জাল ও ইলেকট্রনিক শক দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, এসব পদ্ধতিতে মাছ ধরলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী নির্বংশ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরায় স্টার সিনেপ্লেক্সে র‌্যাব নির্মিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, সুন্দরবনে ওষুধ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে আমি মৎস্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, স্যার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। মন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, তিনি মৎস্যমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী নন। পানিসম্পদ মন্ত্রীকে বললে তিনি বলেন, এটি পরিবেশের বিষয়।

মঞ্চে বসা প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপ-মন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে আইজিপি বলেন, প্রয়োজনে আন্তঃমন্ত্রনালয় সভা করে ও আইনের পরিবর্তন করে সুন্দরবনে অবৈধ উপায়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে।

আইজিপি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা অনেক দিক দিয়ে এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছি। আমাদের অর্জন নিয়ে আমরা অহংকার করতে পারি। কিন্তু সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে আমাদের কিছু একটা করা দরকার। সে বিষয়ে আপনারা একটি উদ্যোগ নেবেন বলে অনুরোধ।

পুলিশ প্রধান বলেন, ডাকাতমুক্ত হওয়ার পর সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, হরিণের সংখ্যা বেড়েছে, পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পশু-পাখির পাচার বন্ধ হয়েছে।

‘আগে বাঘ, হরিণ ও কুমিরের চামড়া পাচার হতো। এগুলো বন্ধ হওয়ার ফলে এখন সুন্দরবনে প্রচুর পরিমাণ পশু-পাখির বিস্তার ঘটেছে।’

ভালো সিনেমা হলে দর্শক আসবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, আমি দেখেছি, যখন ভালো সিনেমা হয়, তখন দর্শকের অভাব হয় না। ভালো সিনেমা হলে দর্শক পাবেন। ঢাকা অ্যাটাক সিনেমা দুঃসময়েও অনেক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল।

সিনেমা বানানো র‍্যাবের কাজ না উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, অপারেশন সুন্দরবন বানানোর কারণ, জাতি হিসেবে আমরা অনেক কিছু ভুলে যাই। র‍্যাব তিন বছর ধরে যে অমানবিক পরিশ্রম করে সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করেছে তার একটি প্রতিচ্ছবি এ সিনেমা।

‘সুন্দরবনে এখন যে শান্তির সুবাতাস বইছে, কিছুদিন পরে মানুষ তা ভুলে যাবে। কিন্তু এ কাজে র‍্যাবের যে অবদান ছিল, তা ডকুমেন্ট হিসেবে তুলে ধরার জন্য এ সিনেমা তৈরি করা হয়েছে।’

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর