শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিগগিরই থামছে না রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত: রুশ কূটনীতিক

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২২ ০৬ ০৬ ০২  

শিগগিরই-থামছে-না-রাশিয়া-ইউক্রেন-সংঘাত-রুশ-কূটনীতিক

শিগগিরই-থামছে-না-রাশিয়া-ইউক্রেন-সংঘাত-রুশ-কূটনীতিক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে শুরু হয় রাশিয়ার সামরিক অভিযান। চলতি শতকে এসে প্রথম সরাসরি যুদ্ধ দেখছে ইউরোপবাসী। ওই যুদ্ধের ছয় মাস হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার। নানা পর্যায় থেকে বিভিন্ন উদ্যোগের পরও এখন পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার আরো ক্ষতি দেখতে ইউক্রেন সংঘাতকে প্রলম্বিত করছে। কিন্তু লড়াই যত বেশি স্থায়ী হবে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান তত কঠিন হবে। রাশিয়ার একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটি এই খবর প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি জেনেডি গেটিলভ বলেন, ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থানের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।

কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়া নিয়ে চাপ প্রয়োগ করছে দাবি করে রাশিয়ার এই শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, তারা রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। আমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান নষ্ট করতে চায়।

আরো পড়ুন>> ছেলের সঙ্গে একই স্কুলে পড়েন মা!

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর মার্চে মস্কোর সঙ্গে সরাসরি কূটনৈতিক আলোচনা ছিন্ন করে কিয়েভ।

যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বারবার পুতিনের সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে শর্ত হিসেবে তিনি বলেন, রাশিয়ার সেনাদের ২০১৪ সালের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ক্রিমিয়া দখল করে।

গেটিলভ বলেন, ইউক্রেনের এমন অবস্থানের কারণে পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকের মতো ব্যবহারিক প্লাটফর্ম নেই। তার ভাষায়– এখন আমি কূটনৈতিক যোগাযোগের কোনো সম্ভাবনা দেখি না। সংঘাত যত গড়াবে কূটনৈতিক সমাধান পাওয়া তত কঠিন হবে।

আরো পড়ুন>> ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লেন রেফারি!

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে কার্যত রাশিয়ার সম্পর্ক নেই। তিনি যে প্রতিনিধিদল নেতৃত্ব দেন পশ্বিমা দেশগুলোর তার সম মর্যাদার প্রতিনিধিবর্গের সঙ্গেও আনুষ্ঠানিক কিংবা ব্যক্তিগত কোনো যোগাযোগ তার নেই।

ইউক্রেনের স্বার্থকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দেয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইউক্রেনের শেষ নাগরিক বেঁচে থাকা পর্যন্ত তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চায়।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর