শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষিকা স্ত্রী আয়েশ করছেন বাসায়, স্কুলে ক্লাস নেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি স্বামী

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২২ ১১ ১১ ০২  

শিক্ষিকা-স্ত্রী-আয়েশ-করছেন-বাসায়-স্কুলে-ক্লাস-নেন-ইলেকট্রিক-মিস্ত্রি-স্বামী

শিক্ষিকা-স্ত্রী-আয়েশ-করছেন-বাসায়-স্কুলে-ক্লাস-নেন-ইলেকট্রিক-মিস্ত্রি-স্বামী

প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থর অজুহাতে আয়েশ করছেন বাসায়। তার হয়ে স্কুলে পাঠদান করা চ্ছেন প্রধান শিক্ষিকার স্বামী। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অভিভাবকরা। তাই  প্রতিবাদে দেগঙ্গার খেঁজুরডাঙায় স্কুলে তালা মেরে বিক্ষোভ করেন তারা।  অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে মিড ডে মিলের মান অত্যন্ত খারাপ। রক্ষণাবেক্ষণের কাজও ঠিকমতো হয় না।

সোমবার  প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। এসময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার স্বামীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন তারা।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হয় খেঁজুরডাঙার এ প্রাথমিক স্কুলটি। সেই সময় স্কুলে মোট চারজন শিক্ষিকা ছিলেন। দুজন অবসর নেয়ায় বর্তমানে দুজন শিক্ষিকা আছেন। স্কুলের প্রায় ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান তাদের কাঁধেই।

কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ- প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে থাকা ফিরোজা বিবি দীর্ঘদিন স্কুলে আসেন না। তার পরিবর্তে স্কুলে এসে পড়ান ফিরোজার স্বামী পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। তার নির্দেশে পড়ুয়াদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে জানান অভিভাবকেরা। প্রতিবাদ করলে শহিদুল হুমকি দেয় বলেও জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাকিম রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এক ব্যক্তি স্কুলে পড়াচ্ছেন। তিনি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার স্বামী। নকল শিক্ষক স্কুলে পড়াবেন, এটা চলতে পারে না।

একজন অভিভাবক কাজল বিবি বলেন, নকল শিক্ষকই স্কুলে পড়ান। স্কুলের মিড ডে মিলের ব্যাপারেও নাক গলান। পড়ুয়াদের নিম্নমানের খাবার দেন। প্রতিবাদ করলে হুমকিও দেন। এ দিন প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আটকে রাখার পর ছাড়া হয় শহিদুলকে।

স্ত্রীর হয়ে প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন শহিদুল। তবে তার দাবি, তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন না। স্ত্রী মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি পড়াতে আসেন। এটা যে নিয়মবিরুদ্ধ, তাও মেনে নেন শহিদুল। তবু কেন তিনি স্কুলে আসেন, জানতে চাওয়া হলে সদুত্তর মেলেনি।

দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা অফিসার পারভেজুর রহমান বিশ্বাস বলেন,  স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার স্বামী আজ মিড ডে মিলের খাবার দিতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। সেই সময়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান এবং তাকে আটকে রাখেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর