সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাশকাটা ঘরে জেগে উঠলো ‘লাশ’, লাশের পাহাড় দেখেই মৃত্যু

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২২ ১৫ ০৩ ০২  

লাশকাটা-ঘরে-জেগে-উঠলো-লাশ-লাশের-পাহাড়-দেখেই-মৃত্যু

লাশকাটা-ঘরে-জেগে-উঠলো-লাশ-লাশের-পাহাড়-দেখেই-মৃত্যু

চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের পেলিয়েটিভ কেয়ারে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয় এক রোগীর। হাসপাতলের এক নার্স তাকে মৃত ভেবে লাশকাটা ঘরে পাঠিয়ে দেন। সেখানে জ্ঞান ফিরতেই লাশকাটা ঘরে মরদেহের সারি দেখে আতঙ্কে মারা যান ঐ ব্যক্তি।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রকিংহাম হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। ঐ রোগীর নাম কেভিন রিড (৫৫)।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি স্টার’-এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী,  হাসপাতালের পেলিয়েটিভ কেয়ারে রাখা কেভিনকে পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত নার্স। রোগড়ীকে মৃত ঘোষণা করার দায়িত্ব চিকিৎসদের থাকলেও সেটি করে ফেলেছিলেনঐ নার্স। এতেই বাধে বিপত্তি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিডকে মৃত ঘোষণার পর লাশকাটা ঘরে পাঠানো হয়। পরদিন যখন চিকিৎসক আবার সেই ব্যক্তি লাশের পরীক্ষা করেন তখন তিনি দাবি করেন , এ ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হলেও সেই সময় তার মৃত্যু হয়নি।

চিকিৎসক বলেন, লাশকাটা ঘরেই আতঙ্কে রিডের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের এ দাবি ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে

এরইমধ্যে রিডের পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিডের মৃত্যুর যে মৃত্যু সনদ দিয়েছে সেখানেও তারিখ ভুল রয়েছে। ঐ সনদে রিডের মৃত্যুর তারিখ দেওয়া হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু পরিবারের দাবি, ঐ দিন তারা হাসপাতালে রিডের সঙ্গেই ছিল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তখনই রিডের মৃত্যু হয়েছিল। আর তা পরীক্ষা করার পরই নার্স ঐ রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিডের বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণই ছিল না বলে পাল্টা দাবি জানায় হাসপাতাল।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর