রুশ বাহিনী পিছু হটায় ১১ মিনিটের বার্তা দিলেন পুতিনের মিত্র রমজান

উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনে নিজেদের প্রধান ঘাঁটি থেকে রুশ বাহিনীর পিছু হটার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ। এরইমধ্যে তিনি তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ১১ মিনিটের একটি বার্তা দিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ প্রদেশের ইজিউম শহরে রুশ বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি ছিল। ইউক্রেনের সেনাদের অভিযানের মুখে গত ১০ সেপ্টেম্বর গোলাবারুদের মজুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ফেলে রেখে সেখান থেকে পালান কয়েক হাজার রুশ সেনা। এ ঘটনায় রুশ বাহিনীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রমজান কাদিরভ।

১০ সেপ্টেম্বর মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্টে এ নিয়ে কথা বলেন প্রভাবশালী এ চেচেন রাজনীতিক। দীর্ঘ ১১ মিনিটের ভয়েস মেসেজে তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী রুশ বাহিনীর অগ্রসর হতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করেন।

রমজান কাদিরভ বলেন, আজ বা কাল যদি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবর্তন করা না হয় তাহলে আমি দেশের নেতৃত্বের কাছে যেতে বাধ্য হবো, যাতে তাদের কাছে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা যায়।

তিনি আরো বলেন, আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো কৌশলবিদ নই। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে, ভুলগুলো হয়েছে। আমি মনে করি তারা কয়েকটি উপসংহার টানবে।

এ রাজনীতিক বলেন, সেখানে আমাদের লোকজন রয়েছে। যোদ্ধারা এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত। আরো ১০ হাজার যোদ্ধা তাদের সঙ্গে যোগ দিতে প্রস্তুত। নিকট ভবিষ্যতে আমরা ওডেসা পৌঁছাবো।

পূর্ব ইউক্রেনে পরাজয়ের বিষয়ে মস্কোর প্রায় সম্পূর্ণ নীরবতা, ঘাঁটিতে গোলাবারুদ রেখে রুশ বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনার কোনো সরকারি ব্যাখ্যা না দেওয়া রুশ জাতীয়তাবাদীদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

খারকিভে লজ্জাজনক পরাজয়ের বিষয়টি সামনে আসার পর রোববার অঞ্চলটিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানায় মস্কো।

কিয়েভ থেকে আল জাজিরার গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো জানান, বহু রুশপন্থী টেলিগ্রাম চ্যানেলে গোলাবারুদের মজুদ ফেলে রেখে ইজিউম শহরের ঘাঁটি থেকে রুশ বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে মস্কোর জন্য পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বা প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু কেউই রোববার পর্যন্ত এ পরাজয়ের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। দৃশ্যত এ ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে মস্কো।