বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাত্র দেড় লাখ লোকের ভোটে নির্বাচিত হবেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

মাত্র-দেড়-লাখ-লোকের-ভোটে-নির্বাচিত-হবেন-ব্রিটেনের-নতুন-প্রধানমন্ত্রী

মাত্র-দেড়-লাখ-লোকের-ভোটে-নির্বাচিত-হবেন-ব্রিটেনের-নতুন-প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য কোনো সাধারণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না। এর পরিবর্তে কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য তার উত্তরসূরী নির্বাচন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে এবার তারাই ভোট দেবেন যারা কনজারভেটিভ পার্টির চাঁদা দানকারী সদস্য।

মূলত ব্রিটেনে যখন কোনো প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদকালের মধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা করেন তখন কোনো সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা হয় না। এর পরিবর্তে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা কেবল একজন নতুন নেতা বেছে নেন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন তখন কনজারভেটিভ পার্টি এমপি এবং দলের সদস্যদের পরবর্তী পদক্ষেপ হয় তার উত্তরসূরি বেছে নেয়া।

এই বাছাই প্রক্রিয়ার প্রথম রাউন্ডে, শুধুমাত্র পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা ভোট দেন। কয়েক দফায় এই ভোটের শেষে দু'জন প্রার্থী বিজয়ী হন: এই ক্ষেত্রে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী বা চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার ঋষি সুনাক এগিয়ে রয়েছেন।

আরো পড়ুন>> বালিশ-কম্বল-চাদর পাবেন ১০৮ ট্রেনের যাত্রীরা

বর্তমানে কনজারভেটিভ পার্টির সাধারণ সদস্যরা বিজয়ী প্রার্থী নির্ধারণের জন্য একটি ব্যালটে অংশ নেন। এই প্রক্রিয়া নিয়ে অতীতে বহুবার অভিযোগ করা হয়েছে, কিন্তু ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে কেবল তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল এবং এর সংশ্লিষ্ট সমর্থকরাই নির্বাচিত করবেন, এটা মোটামুটি সাধারণ প্রথা।

গত অর্ধ শতাব্দী ধরে দেশের প্রায় অর্ধেক নেতা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে, জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ জনগণের ভোটের মাধ্যমে নয়।

এর আংশিক কারণ হচ্ছে, ব্রিটিশ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুটি সাধারণ নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে জনপ্রিয়তা কমে গেলে সরকার প্রধান তার নিজের দলের মাধ্যমে অপসারণের ঝুঁকিতে পড়েন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির সম্পূর্ণ উল্টো।

সূত্র: বিবিসি

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর