সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিমান বিধ্বস্তে ২২৮ জন নিহত: ১৩ বছর পর বিচার শুরু

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১৭ ০৫ ০১  

বিমান-বিধ্বস্তে-২২৮-জন-নিহত-১৩-বছর-পর-বিচার-শুরু

বিমান-বিধ্বস্তে-২২৮-জন-নিহত-১৩-বছর-পর-বিচার-শুরু

প্রায় ১৩ বছর আগে ব্রাজিল থেকে ফ্রান্সগামী এয়ার ফ্রান্স বিমান বিধ্বস্তে ২২৮ জন নিহতের ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন 'এয়ারবাস' ও 'এয়ার ফ্রান্স' নামের কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা। ২০০৯ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে সেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।

রিও ডে জেনিরো থেকে প্যারিসে আসা এ৩৩০ ফ্লাইটির বিমান বিধ্বস্তের বিষয়টি ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছে দুটি সংস্থাই।

তদন্তে জানা গেছে, এয়ার স্পিড সেন্সর বিচ্ছিন্ন হলে পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হরিয়ে ফেলেন। এজন্য বিমানের ভেতরই মারা যান ২২৮ যাত্রী। এরপর কয়েক বছর ধরে নিহতদের পরিবার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের সভা-সমাবেশ করে আসছিল। 

এয়ার ফ্রান্স’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এনি রিগেইল এবং এয়ারবাস’র সিইও গুইলাউম্মি ফাউরি এক প্রকাশ্য বিবৃতিতে ২২৮ জনের মৃত্যু সমবেদনা জানান। এতেই নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।

এয়ারবাস’র সিইও গুইলাউম্মি ফাউরি বলেছিলেন, ২২৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার করা অসম্ভব। সেই কথার জেরে বিমান কোম্পানিটি সত্য ও আসল ঘটনা জানতে চেয়েছিল। এদিকে, এয়ারবাস ঐ দুর্ঘটনাটি কখনই ভুলবে না বলে  আদালতে জানান রিগেইল। তিনি বলেন, এজন্য গভীর সববেদনা জানাই। কিন্তু ফাউরি অসম্মতি জানিয়ে বলেন, এটি অনেক দেরি হয়ে গেছে।

ঐ দুর্ঘটনায় নিহত এক ছেলের বাবা বিচার শুনানির আগে রয়টার্সকে বলেন, আমরা ১৩ বছর ধরে এ দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য দীর্ঘদিনের প্রস্ততি নিয়েছি। 

রিও ডি জেনিরো থেকে উড্ডয়নের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দ্য এয়ার ফ্রান্সের ফ্লাইট ৪৪৭ বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইটি অনেক উঁচুতে বজ্রপাতের মধ্যে দিয়ে চলছিল। 

বিমানটি বিধ্বস্তের কয়েক বছর পর বিমানটির ব্ল্যাক-বক্স খোঁজে তদন্তকারী দল এক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তারা জানান, বিমানের স্পিড সেন্সর বিকল এবং ভুল বার্তা দেওয়ায় বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। কারণ পাইলট তখন সঠিক নির্দেশনা হারিয়ে ফেলেন। এতেই বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর