মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনামূল্যে বই বিতরণ: ৪৮৯ কোটি টাকার পাঠ্যপুস্তক কিনবে সরকার

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮ ০৬ ০১  

বিনামূল্যে-বই-বিতরণ-৪৮৯-কোটি-টাকার-পাঠ্যপুস্তক-কিনবে-সরকার

বিনামূল্যে-বই-বিতরণ-৪৮৯-কোটি-টাকার-পাঠ্যপুস্তক-কিনবে-সরকার

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের লক্ষ্যে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য ১১ কোটি ২০ লাখ এক হাজার ৪৭৪টি পাঠ্যপুস্তক কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ৪৮৯ কোটি ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকা।
 
বুধবার দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
  
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক সাংবাদিকদের জানান অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তিনটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের দুটি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১১টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৯০৩ কোটি ৮৭ লাখ এক হাজার ৯২৩ টাকা।

প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক ৪৮৯ কোটি ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকায় ১১ কোটি ২০ লাখ এক হাজার ৪৭৪টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন> শেখ হাসিনার স্বার্থকতা তার কর্মে প্রতিফলিত হয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ইবতেদায়ি (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি), মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি, দাখিল স্তরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি, শিক্ষক নির্দেশিকা এবং কারিগরি বই (ট্রেড বই)।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, ১৮২টি লটে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এসব পাঠ্যপুস্তক কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এসব পাঠ্যপুস্তক কেনা হবে।

এদিকে এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে দুটি প্রস্তাবেরই নীতিগত অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি।  

প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কতৃক ‘ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ’ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিএমপি) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে অর্পিত ক্রয় কার্য অনুসরণে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কতৃক ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলাধীন নির্মিতব্য মিঠামইন সেনা স্থাপনার ভূমি সমতল উঁচুকরণ, ওয়েভ প্রটেকশন ও তীর প্রতিরক্ষা কাজ’ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে অর্পিত ক্রয় কার্য অনুসরণে বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর