বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |  আশ্বিন ৪ ১৪৩১ |   ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট ২০১৯-২০ পর্যালোচনায় কৃষি

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৯ ২৩ ১১ ০১  

বাজেট-২০১৯-২০-পর্যালোচনায়-কৃষি

বাজেট-২০১৯-২০-পর্যালোচনায়-কৃষি

কৃষিনির্ভর বাংলাদেশকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের আমলে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষিতে চলমান অগ্রগতি ধরে রাখতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে কৃষি বান্ধব করে সাজানো হয়েছে। পর্যালোচনায় দেখে নেয়া যাক এবারের কৃষি বাজেট-

১। কৃষকদের প্রণোদনায় কৃষিতে সাফল্য: বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশেষ ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। আগে সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য যে দেড় কোটি মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন হতো, তার মধ্যে আমরা উৎপাদন করতে পারতাম মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ ১০ মেট্রিক টন। বাকি ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য জোগাড় করার জন্য আমাদের অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে ভিক্ষার হাত পাততে হতো। এখন জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি। ২০১৮ সালে দেশে ৩ কোটি ৬২ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩০ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা, ১৫ লাখ মেট্রিক টন গমসহ ৪ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়েছে। আরো ১ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন করে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন উদ্ধৃত্ত হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদনে সাফল্য আমাদের খাদ্য আমদানি নির্ভরতা থেকে রপ্তানিমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। কৃষক আজ এ দেশের প্রত্যেক মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে। কৃষকরা উদ্ভাবন ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা উভয়কেই সাদরে গ্রহণ করে ঢেলে সাজিয়েছে বাংলাদেশের কৃষিকে। তাতেই গতি সঞ্চারিত হয়েছে কৃষি অর্থনীতিতে। কৃষকদের প্রনোদনা দেয়ায় অল্প অর্থ ব্যয় করতে হয় কৃষকদের। সরকার কৃষকদের এত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বিধায় এত ধান উৎপাদিত হয়েছে; অতীতে উৎপাদিত হয়নি। কাজেই কৃষক ও কৃষিকে রক্ষা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। আর তাই কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হয়েছে। সুষম সেচ ও সার সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে চাষাবাদের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটেছে। বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সাফল্য। 

২। কৃষিখাতে বাজেট সম্প্রসারণ ও ভর্তুকি: ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে কৃষিখাতে বাজেটের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৩.২৭% ছিল। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কৃষিখাতে বাজেটের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৩.৪০ % ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাজেট ছিল ১৩ হাজার ৯১০ কোটি টাকা যা পরবর্তীতে পরিবর্তন করে সংশোধিত বাজেটে কমে করা হয় ১২ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ২.৯৯% ছিল। এখন ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাজেট বেডে প্রস্তাব করা হয় ১৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। কৃষিখাতের প্রধান উপকরণ বিশেষ করে সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি আমদানিতে শূন্য শুল্ক হার অব্যাহত রাখা হচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে। উক্ত বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতেও রেয়াতি শুল্ক হার অব্যাহত রাখা হচ্ছে, যে কারণে কৃষি পন্য উৎপাদনে কীটনাশক ব্যবহার ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য কোনো ব্যয় বাড়বে না। কৃষিখাতের বিভিন্ন যন্ত্র যেমন, পাওয়ার কর্তন যন্ত্র বা রিপার, বীজ বপনের পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার, মাড়াই যন্ত্র, লোলিস্ট পাম্প, রোটারি টিলার উৎপাদনে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে। একই বাজেটে কৃষিখাতের মাড়াই যন্ত্র বা হারভেস্টিং মেশিনের উপর শুল্ক কমানো হচ্ছে। 

৩। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কৃষিখাতে ভতুর্কি ছিল ৮ হাজার ৭০ কোটি টাকা যা ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা যা মোট বাজেটের ৩.৭%। কৃষিখাতে সার্বিক ভর্তুকির যে অর্থ বেচে যায় তা থেকে তিন হাজার কোটি টাকা কৃষির আধুনিকীকরণ/যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে। সরকার কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ব্যাপারে ৩০%-৫০% ভর্তুকি দিচ্ছে যাতে করে কৃষকরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কৃষিখাত সম্প্রসারণ করতে পারে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শুরু হয়েছে এবং অচিরেই শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন হবে যাতে ধান লাগানো ও কাটায় শ্রমিক সমস্যার উত্তরণ ঘটানো যায়। পাশাপাশি কৃষি কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ই-কৃষির সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সরকার। বিগত ৯ বছরে  কৃষককে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া গত ৯ বছরে বিএডিসি কর্তৃক ভর্তুকি মূল্য বিভিন্ন ফসলের ১০.৫২ লাখ মেট্রিক টন মানসম্পন্ন বীজ কৃষক পর্যায়ে বিতরণ করেছে। বর্তমানে সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় ন্যায্যমূল্যে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি কেজি টিএসপি সারের দাম ৮০ টাকা থেকে ২২ টাকায় হ্রাস করেছে। বিদ্যুৎ বিলের উপর ২০% রেয়াত দেয়া হয়েছে যাতে করে বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্র ব্যবহারে এই ভর্তুকি পাওয়া যায়। ডাল, তেল, মসলাসহ ২৪ প্রকার ফসল উৎপাদনের জন্য মাত্র ৪% সুদে সরকার গত ৯ বছরে কৃষকদের মাঝে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। তাছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করা হয়েছে যা গত অর্থ বছরের তুলনায় ৬.৮৬% বেশি। মোট ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৫০৮ জনের মাঝে সর্বোচ্চ ৯% সুদে কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়। তাছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ৯৬১ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করে। পাশাপাশি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকার তহবিল বর্গাচাষিদের মধ্যে ব্রাকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি বাড়ি তৈরির জন্য দেশের সচ্ছল কৃষকদের ঋণ দিতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। এ ঋণের পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা; আর সুদের হার ৮%। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৫ থেকে ২৫ বছর। কৃষিখাতে ২০% ভর্তুকিতে ১০ বছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ১৯৪%। গত ১০ বছরে কৃষিখাতে গড় উন্নয়ন ৩.৮%। প্রথম বারের মত কৃষকের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরে শস্য ও গবাদি পশুর জন্য বীমা চালু করা হবে যাতে করে দূর্যোগ-দূর্বিপাকেই শস্য ও গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা এই বীমার আওতায় আর্থিক সহায়তা পাবে। 

৪। কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে সরকার: সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে মিল মালিকদের কাছ থেকে ঐ ধান ভাঙিয়ে চাল মজুদ করবে। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক ভাবে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনার উদ্যোগ নিবে এবং ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনবে। সারাদেশে ২০০ জায়গায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘প্যাডি সাইলো’ নির্মাণ করা হবে। প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন। ২০০৯ সালে খাদ্য গুদামজাত সক্ষমতা ছিল ১৭ লক্ষ মেট্রিক টন। যা ২০১৮ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ২৫ লক্ষ মেট্রিক টন। কাজেই ভবিষ্যতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে সেই ধান মিলারদের কাছে দেয়া হবে চালে রূপান্তর করার জন্য। বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিতে সামনের বছর থেকে ধানের সংগ্রহ মূল্য ঘোষনা করবে। ধান সংগ্রহের পরিমান পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে ৫০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ‘প্যাডি সাইলো’ এর ধারণ ক্ষমতা শতভাগ নিশ্চিত করে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। সম্প্রতি বগুড়া জেলায় ২৫,০০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘প্যাডি সাইলো’ নির্মাণ করা হয়েছে। ধান চাষিদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে চালের আমদানি শুল্ক ২৮% থেকে বাড়িয়ে ৫৫% আরোপ করা হয়েছে। আমদানি শুল্ক ২৫% বহাল রেখে রেগুলেটিং ডিউটি বাড়িয়ে ২৫% করা হয়েছে। একই সংগে চাল আমদানিতে ৫% অগ্রিম আয়কর আরোপ করায় চাল আমদানিতে মোট ব্যায়ভার ৫৫% (কাস্টম ডিউটি ২৫%+রেগুলেটরি ডিউটি ২৫%+অগ্রিম আয়কর ৫%) উন্নীত হয়েছে। তবে কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বর্তমানে চাল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এখন চালের পরিবর্তে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করবে সরকার। 

৫। কৃষক-বান্ধব সরকার: কৃষককে বাঁচাতে হবে; তবেই বাঁচবে দেশ। কৃষক ও কৃষিকে সুন্দরভাবে রক্ষা করাই হলো এ সরকারের খাদ্য নিরাপত্তার পূর্বশর্ত। কৃষি কাজে সম্পৃক্ত জনগনের ৪০.৬২% কৃষক। জিডিপি এর ১৫.৩৩% অবদান কৃষি খাতে। কাজেই উৎপাদন খরচ কমাতে, উৎপাদন বাড়াতে কারিগরি সহায়তা ও কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের ১০টি কৃষি অঞ্চলে ২৪৫টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষক ফসল উৎপাদন বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। সুষম সার সুপারিশ করার জন্য ২০০টি উপজেলায় ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। দেশে জেআইএস ভিত্তিক মডেলিংয়ের মাধ্যমে ১৭ টি শস্য উপযোগিতা বিষয়ক ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি অঞ্চল ভিত্তিক শস্য উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করবে। ২০১৮ সালে দেশে প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। ২০০৯ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল প্রায় ৩ কোটি মেট্রিক টন যা ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টন। গত ৯ বছরে দেশে খাদ্য শস্য উৎপাদন বেড়েছে ৩০.৪৮%। চালের বাম্পার ফলন হওয়ায় চলতি বছরে ১০-১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন চাল উদ্ধৃত রয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশের কৃষি ভিত্তিক পণ্যের রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ৫৫ কোটি ডলার যা আয় বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে হয়েছে প্রায় ৬৮ কোটি ডলার। কৃষকদের জন্য সব রকমের সুযোগ সুবিধা প্রদান করায় এত ধান উৎপাদিত হয়েছে; না হলে এত ধান উৎপাদিত হতো না। দেশে ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭৭ জন কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা প্রাপ্ত কার্ড প্রদান করা হয়। উক্ত কার্ডের মাধ্যমে একজন কৃষক সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ ক্রয়ে ভর্তুকি, সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ বিলের উপর ২০% ছাড়, ও অনুর্ধ্ব ২০,০০০ টাকা ঋণ সুবিধা পাবে। তাছাড়া বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৪১ লক্ষ কৃষককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে যা ২০০৬ সালে ছিল ২১ লক্ষ। বাংলাদেশ বিশেষ পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু ও পিয়ারা উৎপাদনে অষ্টম এবং অন্যান্য ফল উৎপাদনে ২৮ তম অবস্থানে রয়েছে। সরকার কর্তৃক ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুন করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। কাজেই ২০২৪ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত, ২০৩০ সালের মধ্যে অপুষ্টি মুক্ত এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। কৃষক বান্ধব সরকার কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত কল্পে প্রান্তিক চাষীদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান সরাসরি কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যার ফলে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে; বাড়বে কৃষকের ন্যায্য অধিকার ও খাদ্য নিরাপত্তা। 



দৈনিক প্রভাতী/আরএইচ

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর