শনিবার   ১৮ মে ২০২৪ |  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১ |   ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বাজার মূলধন বেড়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৭ ০৫ ০২  

বাজার-মূলধন-বেড়েছে-২-লাখ-৫২-হাজার-কোটি-টাকা

বাজার-মূলধন-বেড়েছে-২-লাখ-৫২-হাজার-কোটি-টাকা

পুঁজিবাজারে দুদিন উত্থান আর দুদিন সূচক পতনের মাধ্যমে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পার করেছে। বিদায়ী সপ্তাহে সূচক, লেনদেন এবং অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এরপরও বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। 

সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস ১০ অক্টোবর সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। চার কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৫০টি বন্ড লেনদেন হয়েছে। তাতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শতাংশের হিসাবে মূলধন বাড়ল ৪৮ শতাংশের বেশি।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৫৩টি বন্ড। তাতে সিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা থেকে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।

সরকারি ছুটির কারণে গত রোববার লেনদেন বন্ধ থাকায় বিদায়ী (১০-১৩ অক্টোবর) সপ্তাহে পুঁজিবাজারে মোট চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ চার দিনের মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস দরপতনের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এর পরের দুদিন সূচক বেড়েছে। তবে তারপর দিন কর্মদিবসে সূচক পতনের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ চারদিনের মধ্যে দুদিন সূচক বেড়েছে। আর দুদিন সূচক কমেছে।

আলোচিত এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১১৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬৬টির।

লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪১৯ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৩ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৮৩২ কোটি ৯২ লাখ ২৫ হাজার ৪২৯ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ২৭৮ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৪৯৮ টাকা। অর্থাৎ শতাংশের হিসাবে যা ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ লেনদেন কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইস্টার্ন হাউজিং, সোনালী পেপার, ইন্দো-বাংলা ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এবং পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ার।

একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ২২২ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ১১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ কোটি ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৪২৫ টাকা।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। আর কমেছে ১০৮টির ও অপরিবর্তিত ১৩৪টির দাম।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর