রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের রফতানি তালিকায় নতুন ২ পণ্য

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২২ ১৫ ০৩ ০২  

বাংলাদেশের-রফতানি-তালিকায়-নতুন-২-পণ্য

বাংলাদেশের-রফতানি-তালিকায়-নতুন-২-পণ্য

নতুন দুটি পণ্য যোগ হয়েছে বাংলাদেশে রফতানির তালিকায়। দুটিই প্লাস্টিকশিল্পের কাঁচামাল- পেট রেজিন ও পিভিসি (পলিভিনাইল ক্লোরাইড)। এতদিন শতভাগ আমদানিনির্ভর ছিল এ দুই পণ্য।

এর আগ পর্যন্ত ২৬৭টি রফতানি পণ্যের বেশিরভাগই ছিল পোশাক খাতের। নতুন দুটি পণ্য যোগ হওয়ায় সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬৯-এ।

পেট রেজিন ও পিভিসির বৈশ্বিক বাজারও বেশ বড়। বৈশ্বিক বাজার গবেষণা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে পিভিসি ও পেট রেজিন রফতানির বাজার ছিল প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের। যা প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে।

বাংলাদেশ থেকে এরই মধ্যে রেজিন ও পিভিসি রফতানি শুরু করেছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেঘনা পিভিসি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারের সহযোগিতা পেলে এ ধরনের বিশেষায়িত পণ্য উৎপাদনে পদক্ষেপ নিতে পারেন দেশের উদ্যোক্তারা।

পলিভিনাইল ক্লোরাইড বা পিভিসির
নারায়ণগঞ্জে মেঘনার নিজস্ব কারখানায় গত মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয় পলিভিনাইল ক্লোরাইড বা পিভিসির। পরীক্ষামূলক উৎপাদনের দুই সপ্তাহের মধ্যে সাফল্য আসে। গত মঙ্গলবার ৩৭৫ টনের একটি চালান ভারতে রফতানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে রফতানি আয় হবে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ডলার। আগামী সপ্তাহে আরো সাড়ে ছয় লাখ ডলারের ৭২৫ টন পিভিসি রফতানির প্রক্রিয়া চলছে।

পিভিসি দিয়ে প্লাস্টিকের পাইপ, দরজা, গ্লাভস, খেলনা, জুতা, কৃত্রিম চামড়া, ঘরের মেঝের উপকরণ, গাড়ির নানা উপকরণ ও গৃহস্থালিতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের নানা পণ্য তৈরি হয়। গত অর্থবছরে দেশের ২৮০টি প্রতিষ্ঠান ৩ লাখ ২৬ হাজার টন পিভিসি আমদানি করেছে।

২০২০ সালে পিভিসির বৈশ্বিক রফতানি বাজার ছিল প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের। এই পণ্যের বড় আমদানিকারক ভারত। এছাড়া চীন, তুরস্ক, ইতালি, জার্মানি, কানাডা ও ভিয়েতনামে পিভিসির চাহিদা রয়েছে।

পলিথিলিন টেরেফথ্যালেট বা পেট রেজিন
মেঘনা পিভিসির প্রথম উৎপাদিত পণ্য পেট রেজিন। প্রায় চার মাস আগে পণ্যটি উৎপাদনের পরই রফতানি শুরু হয়। এ পর্যন্ত ১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের (১৫৬ কোটি টাকা) ১৩ হাজার ১৯৩ টন পেট রেজিন রফতানি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গন্তব্য ছিল ভারত, ইতালি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ ধরনের পেট রেজিন উৎপাদন করছে। মূলত বিশুদ্ধ পানির বোতল ও পানীয়ের বোতল, খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ের পণ্য তৈরিতে এসব রেজিন ব্যবহৃত হয়। গত অর্থবছরে দেশের ১৩৯টি প্রতিষ্ঠান এই পাঁচ ধরনের ১ লাখ ৩২ হাজার টন পেট রেজিন আমদানি করে।

বৈশ্বিক বাজার গবেষণা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে এই পাঁচ ধরনের রেজিনের রফতানির বাজার ছিল ৭৭০ কোটি ডলারের। বড় আমদানিকারক যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ও ভারত।

বিশ্বের রফতানির বাজারে শীর্ষ ১০-এ রয়েছে প্লাস্টিকশিল্পের মৌলিক কাঁচামাল, মধ্যবর্তী কাঁচামাল ও প্রস্তুত পণ্য। ২০২০ সালে এর বাজার ছিল ৬০২ বিলিয়ন ডলারের।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর