শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পুলিশে নিয়োগ পেলেন তৃতীয় লিঙ্গের ৯ জন

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২২ ১২ ১২ ০১  

পুলিশে-নিয়োগ-পেলেন-তৃতীয়-লিঙ্গের-৯-জন

পুলিশে-নিয়োগ-পেলেন-তৃতীয়-লিঙ্গের-৯-জন

ভারতে মাওবাদীদের মোকাবিলা করতে ‘বস্তার ফাইটার ফোর্স’ নামে একটি নতুন বাহিনী গঠন করা হয়েছে। সেই বাহিনীতে এবার নিয়োগ পেয়েছেন ৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ ব্যক্তি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ছত্তীশগঢ় রাজ্যের বস্তার বিভাগের সাতটি মাও অধ্যুষিত জেলায় মাওবাদীদের মোকাবিলা করতে ‘বস্তার ফাইটার ফোর্স’ নামে একটি নতুন বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এ বাহিনীতে স্থানীয় যুবদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছেন তৃতীয় লিঙ্গের ৯ জন। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তৃতীয় লিঙ্গের ৯ ব্যক্তিকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়। পুলিশ যুবাদের নিয়ে এ বাহিনী গঠিত হয়েছে।

বস্তার পুলিশ বিভাগের সাতটি জেলা থেকে মোট ২ হাজার ১০০ জনকে এ বাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যেই এবার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবেন তারাও। পাহাড়, বন ওবং নদী-নালায় ঘুরে ঘুরে সন্ধান করতে হবে মাও ঘাঁটির।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘বস্তার ফাইটার ফোর্স’ নামে নতুন এ বাহিনীতে নিয়োগ পেতে নির্বাচিত প্রার্থীদের কঠিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। মাওবাদীদের মোকাবিলা করতে বিশেষ শারীরিক ও মানসিক দক্ষতা প্রয়োজন। আর সেটির ভিত্তিতেই এ বাহিনীর সদস্যদের বেছে নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এ বাহিনীতে জায়গা পেতে মোট ৫৩ হাজার ৩৩৬ আগ্রহী প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ১৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের, ৩৭ হাজার ৪৯৮ জন পুরুষ ও ১৫ হাজার ৮২২ জন নারী প্রার্থী। তবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র ২ হাজার ১০০ জন।

এতেই স্পষ্ট যে, এ বাহিনীকে জায়গা করে নেয়া কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল। স্ত্রীলিঙ্গ ও পুংলিঙ্গের জন্য যোগ্যতার মাপকাঠিতে কোনো ভেদাভেদ করা হয়নি। আর তাই তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই মাপকাঠি ছিল।

‘বস্তার ফাইটার ফোর্সে’ যে ৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ জায়গা করে নিয়েছেন তারা হলেন-দিব্যা, দামিনী, সন্ধ্যা, সানু, রানি হিমাংশি, রিয়া, সীমা ও বরখা। তাদের মধ্যে আটজন কাঙ্কের জেলার বাসিন্দা ও অপরজন বস্তার জেলার।

এদিকে, তৃতীয় লিঙ্গের এ ৯ জন ছত্তীশগঢ় পুলিশে চাকরি পাওয়ায় সামগ্রিকভাবে রাজ্যের তৃতীয় লিঙ্গের সমাজে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ৯ জনের একজন বরখা বলেন, আমাদের সম্প্রদায়কে সমাজের মূল স্রোতে যুক্ত করতে প্রচেষ্টা দরকার। আমরা সবাই স্বাভাবিক জীবন চাই। জীবিকার প্রশ্নটাই আমাদের সামনে সবচেয়ে বড়।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর