বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নারী সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম নিয়ে থানার ভেতরে পুলিশের গোলাগুলি

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২ ১২ ০১  

নারী-সহকর্মীর-সঙ্গে-প্রেম-নিয়ে-থানার-ভেতরে-পুলিশের-গোলাগুলি

নারী-সহকর্মীর-সঙ্গে-প্রেম-নিয়ে-থানার-ভেতরে-পুলিশের-গোলাগুলি

একই থানায় চাকরি সুবাধে নিজের নারী সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এক পুলিশ কনস্টেবল। আর সেটি নিয়েই আরেক পুরুষ সহকর্মীর বাঁকা কথায় বেঁধে যায় লড়াই। থানার ভেতরেই শুরু হয় গোলাগুলি। এজন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন সবাই।

গত সোমবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশের বরেলী জেলার বাহেরি থানায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে।

মূলত সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আরেক সহকর্মীর কটূক্তিতে বিরক্ত হয়েই থানার মধ্যেই গুলি চালান ঐ প্রেমিক পুলিশ সদস্য। তিনি একজন কনস্টেবল। অবশ্য এতে কেউ আহত হননি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলা বলছে, উত্তর প্রদেশের বরেলী জেলার বাহেরি থানার এক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে একই কর্মস্থলে থাকা নিজের এক নারী সহকর্মীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তা নিয়েই ঐ থানার অন্যরা বিভিন্ন সময় হাসি ঠাট্টা এবং কটূক্তি করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত সোমবার রাতে ঐ থানারই এক কনস্টেবল সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কটূক্তি করায় রাগে ফেটে পড়েন প্রেমিক কনস্টেবল। সঙ্গে সঙ্গে কাছে থাকা রিভলভার দিয়ে থানার মধ্যেই গুলি চালান তিনি। মূলত ঐ কনস্টেবল কাউকে লক্ষ্য করে গুলি চালাননি। রাগের মাথায় তিনি মেঝের দিকে তাক করে গুলিবর্ষণ করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। যদিও এ ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ প্রশাসনে। ঘটনার জেরে ঐ থানার মোট পাঁচজনকে বরখাস্ত করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, থানার ভেতরে গুলি চালানো ঐ কনস্টেবলের নাম মনু কুমার। ২০১৯ সালে বরেলী জেলার বাহেরি থানায় যোগ দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের বাগপতের এ বাসিন্দা। একপর্যায়ে তার পাশের জেলার মুজফফরনগরের বাসিন্দা এক নারী কনস্টেবলও ঐ থানাতেই কাজে যোগ দেন। তিনি ঐ কনস্টেবলের পূর্ব পরিচিত ছিলেন এবং তাদের মধ্যে একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার সত্যার্থ অনিরুদ্ধ পঙ্কজ বলেন, যদি কোনো পুলিশ সদস্য (সহকর্মীর সঙ্গে) প্রেমের সম্পর্কে জড়িত হন সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে গাফিলতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ঐ থানার পাঁচজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ঐ থানার স্টেশন হাউস অফিসারও রয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, মনু কুমার ও নারী কনস্টেবলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনেই ভিন্ন জাতের। ভিন্ন জাতের প্রেম নিয়ে সোমবার রাতে কটূ মন্তব্য করেন ঐ থানারই চহ্বাল নামের অন্য এক কনস্টেবল। এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে গুলি চালান মনু কুমার।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া ও নিউজ নাউ। 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর