সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দখলদারদের খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে: মেয়র তাপস

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২ ২০ ০৮ ০১  

দখলদারদের-খালের-জায়গা-ছেড়ে-দিতে-হবে-মেয়র-তাপস

দখলদারদের-খালের-জায়গা-ছেড়ে-দিতে-হবে-মেয়র-তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, সব দখলদারকেই খালের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে- এখানে ১০তলা ভবন হয়ে গেছে। আজ থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে। আগামী বুধবার আবার পরিদর্শনে আসবো। আশা করি, (অবৈধ ভবনের) যে অংশটা খালের মধ্যে বা নদীর মধ্যে পড়েছে সে অংশটা থাকবে না। সুতরাং সবাইকে ছেড়ে দিতে হবে। এতদিন যে দখল করে খেয়েছে, সেটা এখন থেকে ছেড়ে দিতে হবে। আর যদি না ছাড়ে, তাহলে আমরা এটা ভেঙে দেবো।

বুধবার রাজধানীর কালু নগর স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে এ সব কথা বলেন মেয়র।    

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে এই সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে- উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারে আমরা বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। এরই মাঝে খনন কাজ শুরু করেছি। আজকে থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিআইডব্লিউটিএ, ডিএসসিসি সম্পত্তি বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাসহ সবাই যৌথভাবে পরিমাপ করছি। সীমানা  চিহ্নিত করেছি। আজকে থেকেই সেই সীমানা চিহ্নিতকরণ এবং স্থায়ীভাবে সীমানা পিলার লাগিয়ে দেবো। আমরা আশাবাদী- এই কার্যক্রম শিগগিরই দৃশ্যমান হবে এবং আদি বুড়িগঙ্গা তার সেই পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবে।

মেয়র বলেন, আদি বুড়িগঙ্গার সিএস এবং অন্যান্য নকশা অনুযায়ী- নদীর অববাহিকা বা নদীর সীমানা যেখানে বেশি আছে আমরা সেটাকে ধরছি। সেটা ধরে সব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। সেখানে নদীর অববাহিকা ও নদীর গতিপথ সৃষ্টি করে তার পাশ দিয়ে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। যেন মানুষজন হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করতে পারে। আমরা গণ-পরিসর প্রতিষ্ঠা করবো, যেন মানুষজন নদীকে উপভোগ করতে পারে এবং ঢাকার পূর্বের সেই প্রতিচ্ছবি ফিরে আসে।

ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে আজ আশ্বিন মাসের ২৭ তারিখ হওয়া সত্ত্বেও এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো আমরা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যার কারণে লক্ষ্য করছি- ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনো রয়েছে। কিন্তু গত ১০ অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী (সারাদেশে মোট) ৬৪২  জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৪০ জন হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের। সুতরাং আমাদের সার্বক্ষণিক যে কার্যক্রম চলছে, তাতে আমরা ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। ডেঙ্গু পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত, প্রাদুর্ভাব নেমে না আসা পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর