মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তুর্কি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশের প্রচার দরকার: ডিসিসিআই

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩ ১১ ০১  

তুর্কি-বিনিয়োগ-আকৃষ্ট-করতে-বাংলাদেশের-প্রচার-দরকার-ডিসিসিআই

তুর্কি-বিনিয়োগ-আকৃষ্ট-করতে-বাংলাদেশের-প্রচার-দরকার-ডিসিসিআই

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে তুরস্কে প্রচার প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার তুর্কিয়ের ইস্তাম্বুলের একটি হোটেলে ফরেন ইকোনমিক রিলেশন্স বোর্ড অফ তুরস্কে (ডিইআইকে) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ’ শীর্ষক ফোরামে তারা এ মত প্রকাশ করেন।

ডিসিসিআই’র সভাপতি রিজওয়ান রহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্যের একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুল সফর করছে।

বৈঠকে ডিইআইকে চেয়ারম্যান ওনুর ওজডেন বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক এগিয়েছে এবং দেশকে বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত করেছে।

তিনি আরো বলেন, তুরস্কের উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে কাজ করছে এবং আরো উদ্যোক্তা এ সম্ভাবনাগুলো অধিকতর অন্বেষণে আগ্রহী। এজন্য দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে হবে এবং এর জন্য এই ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের আদান-প্রদানই হবে সবচেয়ে উত্তম বিকল্প।

বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশ সুযোগের দেশ। কিন্তু তুরস্কে এটা সুপরিচিত নয়। বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে বিজনেস টু বিজনেস (বি২বি) বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে এবং এটি আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

‘বাংলাদেশের বাজার একটি বৃহৎ বাজার এবং তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগটি অন্বেষণ করতে পারে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নীতি সংস্কার এবং ব্যবসায় নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সহজতা তুর্কি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আকৃষ্ট করবে।’

আংকারায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান বলেছেন, বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এর জন্য উভয় দেশের বেসরকারি খাতকে অনুঘটক ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভাষার প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজসহ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবে এবং এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, কোভিডের সময়েও বাংলাদেশের রফতানি কমেনি বরং ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত রপ্তানি ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি ভালো জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ রয়েছে এবং বাংলাদেশে মোট কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০১১ সালে তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল এবং ২০২২ সালে বাংলাদেশ-তুর্কিয়ের বিজনেস ফোরাম প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, উভয় দেশই ডি৮ ও ওআইসি’র সদস্য রাষ্ট্র।

পরে তিনি বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন।

ডিইআইকে কতৃক দ্বারা আমন্ত্রিত ১১০ টিরও বেশি কোম্পানি ব্যবসায়িক ফোরামের পরে ডিসিসিআই ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ বি২বি সেশনে যোগ দেয়।

শেষে ডিসিসিআই এবং ইস্তাম্বুল গেদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান এবং ইস্তাম্বুল গেদিক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি হুলিয়া গেদিক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নথিতে স্বাক্ষর করেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর