বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাইওয়ানকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০ ০৮ ০২  

তাইওয়ানকে-রক্ষার-প্রতিশ্রুতি-বাইডেনের

তাইওয়ানকে-রক্ষার-প্রতিশ্রুতি-বাইডেনের

তাইওয়ানকে চীনের আগ্রাসন থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, তাইওয়ানের ওপর চীন আগ্রাসন চালালে আমেরিকার সেনারা তাইওয়ানকে রক্ষা করবে।”

মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস’র সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ ঘোষণা দেন।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) তার এ সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয় যদি চীন তাইওয়ানের ওপর হামলা চালায় তাহলে আমেরিকা তাইওয়ানকে রক্ষা করবে কিনা। জবাবে বাইডেন বলেন, যদি চীন নজিরবিহীন কোনও হামলা চালায় তাহলে আমেরিকা তাইওয়ানকে রক্ষা করবে।

আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, আমেরিকার সেনারা ইউক্রেনকে রক্ষার জন্য সরাসরি এগিয়ে যায়নি, সেক্ষেত্রে তাইওয়ানে কি করবে। এ প্রশ্নের জবাবে জো বাইডেন বলেন, অবশ্যই মার্কিন সেনারা তাইওয়ানকে রক্ষা করবে।

তবে তার এই মন্তব্যের পর হোয়াইট হাউজস থেকে এ ব্যাপারে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নীতিতে তাইওয়ানের বিষয়ে সামরিক পদক্ষেপের অঙ্গীকার নেই। এতে কোনো পরিবর্তনও হয়নি।

আরো পড়ুন>> ভয়ংকর কারাগার থেকে যেভাবে মুক্তি পেলেন শীর্ষ তালেবান সদস্য

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এমন মন্তব্যে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারে তার মতামতের স্পষ্ট প্রতিফলন হয়েছে। এদিকে বেইজিং এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, তারা বাইডেনের সামরিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতির ‘নিন্দা জানায় এবং দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করে।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাইডেনের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের কাছে তারা কড়া অভিমত জানিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরের পর থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ নিয়ে তৃতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অবস্থানের বাইরে গিয়ে কথা বললেন।

রোববারের ওই সাক্ষাতকারে বাইডেন এটাও বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে উৎসাহ দিচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাদের ‘এক চীন’ নীতি আছে এবং স্বাধীনতার ব্যাপারে তাইওয়ানের সিদ্ধান্ত তাদের নিজেদের ব্যাপার। আমরা তাদের স্বাধীন হতে উৎসাহিত করছি না, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।

তাইওয়ান এমন একটি স্বশাসিত দ্বীপ যা চীনের পূর্ব উপকুল থেকে কিছু দূরে অবস্থিত এবং বে্ইজিং একে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে। ওয়াশিংটন এ প্রশ্নে বরাবরই কূটনৈতিকভাবে দুই কুলই রক্ষা করে এক কৌশলী অবস্থান নিয়ে আসছে।

আরো পড়ুন>> ৩২ বছর আগে তৈরি হয়েছিল রানির বিশেষ ‘রাজকীয়’ কফিন

একদিকে তারা ‘এক চীন’ নীতি মেনে চলে যা বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তি। এর অধীনে তারা চীনের একটি মাত্র সরকারকেই স্বীকৃতি দেয় এবং তাইওয়ানের পরিবর্তে শুধু বেইজিংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখে।

কিন্তু একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে এবং একটি আইনের অধীনে তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে আসছে। এই আইনে বলা আছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এই দ্বীপকে অবশ্যই তাদের আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দেবে।

চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করতে একমত হয়। চীন এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর