শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টানা তিন দিন বাথরুমে বন্দি নারী!

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫ ০৩ ০২  

টানা-তিন-দিন-বাথরুমে-বন্দি-নারী

টানা-তিন-দিন-বাথরুমে-বন্দি-নারী

দুর্ঘটনাক্রমে নিজেকে বাথরুমে আটকে ফেলেছিলেন ৫৪ বছরের এক থাই নারী। তিন দিন ধরে চিৎকার করেও নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি। করছিলেন মৃত্যুর জন্য অপেক্ষ।

নাম প্রকাশ না করে থাইল্যান্ডের এক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওই নারী বাথরুমের ঢোকার পরই দুর্ঘটনাক্রমে বাথরুমের লক আটকে যায়। এর পরই তিনি দরজা ধাক্কাতে থাকেন ও চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তাকে সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না। প্রতিবেশীরাও তার চিৎকার শুনতে পাননি। তাই তাকে বাথরুমের পানি খেয়েই থাকতে হয়েছে তিন দিন।

দুই দিনেও যখন কেউ তাকে উদ্ধার করতে এলো না, ক্লান্ত ওই নারী তখন বাথরুমের দেয়ালে লিখতে শুরু করেন। বাথরুমে থাকা প্রসাধনী দিয়ে তিনি লিখেছিলেন এবং মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

ভাগ্যক্রমে ওই নারীর বোন এগিয়ে আসেন। দুই দিন ধরে বোনের খবর না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। বোনকে না পেয়ে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ৫৪ বছর বয়সী ওই নরীর বাসায় যায়। ডকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয়, দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার। 

আরো পড়ুন>> ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন গুগল কর্মী

পুলিশ ভেতরে ঢুকে বাথরুমে তাকে আবিষ্কার করে। খুব দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে তাকে সাথে সাথেই হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ বাথরুমের দেয়ালে লেখা বার্তার ছবি তুলে নিয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, ‘২২ আগস্ট আমি বাথরুমে আটকে যাই। যদি আমি মরে যাই তাহলে আমার দলিলপত্র দেখে রেখো। দয়া করে টুকের সম্পত্তি তুয়া তুন তুমকে দিয়ো। বেঁচে থাকার জন্য আমি কলের পানি খেয়েছি। পানি ছাড়া আমি হয়তো মরে যেতাম। আমি দোয়া করেছি, চিৎকার করেছি, দরজা ভেঙে ফেলতে চেয়েছি; কিন্তু কেউ আমাকে শুনতে পায়নি।’

সূত্র: ব্যাংকক পোস্ট

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর