জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির প্রসারে কাজ করা হচ্ছে: পরিবেশ উপমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পবিবেশবান্ধব গ্যাস এবং প্রযুক্তির প্রচলন ও প্রসারে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের প্রাইভেট সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং পিপিপি মডেলে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।

শুক্রবার বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২২ উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় তিনি একথা বলেন। এ সময় হাবিবুন নাহার বলেন, আমাদের নিজদের অস্তিত্বের স্বার্থেই ওজোনস্তর রক্ষা করতে হবে। 

তিনি বলেন, বায়ুমণ্ডলের গুরুত্বপূর্ণ ওজোনস্তর সুরক্ষার জন্য এই স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য বা গ্যাস যা এসি, ফ্রিজ, এরোসল, ফোম, ইনহেলারে ব্যবহার করা হয়, সেগুলো মন্ট্রিয়ল প্রোটকল নির্ধারিত পরিমাণে আমদানি ও ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশ সফল হয়েছে।

পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আরো কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া ওজোনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাসসমূহ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় এই গ্যাসসমূহের ব্যবহার হ্রাসের মাধ্যমে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য ভূমিকা রাখছে।

সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, পেশাজীবী সংগঠন এবং বিভিন্ন বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ স্কাউট ও গার্লস গাইডের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওজোনস্তর রক্ষার উদ্দেশ্যে বিশ্ব নেতারা কানাডার মন্ট্রিল শহরে মন্ট্রিল প্রটোকল নামে একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করে। দিবসটি স্মরণীয় করে রাখা এবং ওজোনস্তর রক্ষার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৫ সন থেকে বিশ্ব ওজোন দিবস বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে।