মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চীনকে ঠেকাতে অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ প্রকাশ্যে আনলো তাইওয়ান

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০১  

চীনকে-ঠেকাতে-অত্যাধুনিক-যুদ্ধ-জাহাজ-প্রকাশ্যে-আনলো-তাইওয়ান

চীনকে-ঠেকাতে-অত্যাধুনিক-যুদ্ধ-জাহাজ-প্রকাশ্যে-আনলো-তাইওয়ান

নিজেদের বানানো স্থল ও জলে ব্যবহারযোগ্য অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ গ্রহণ করেছে তাইওয়ানের নৌবাহিনী। এ অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজে সৈন্য নামানো এবং দুর্বল উপদ্বীপের শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহের পথ হিসেবে ব্যবহার হবে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের ইচ্ছায় নিজের দেশের প্রতিরক্ষা রক্ষা করার অংশ হিসেবেই যুদ্ধ জাহাজটি বানানো হয়েছে।

তাইওয়ানের সবচেয়ে উচ্চ পর্বতের নামানুসারে যুদ্ধ জাহাজের নাম ‘ইউ শান’ রাখা হয়েছে। এটি স্ব-শাসিত তাইওয়ানের সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে প্রেসিডেন্ট সাইয়ের সর্বশেষ কর্মসূচির একটি। এতে চীনের সামরিক তীব্রতার চাপ রোধ করা সম্ভব হবে। যুদ্ধ জাহাজটির ওজন প্রায় ১০ হাজার ৬০০ টন।

শুক্রবার যুদ্ধ জাহাজটি হস্তান্তরের সময় কাওশিউং শহরের দক্ষিণ বন্দরে বক্তব্য রাখেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই। তিনি বলেন, যেহেতু চীনের সামরিক হুমকি আসছে, তাই আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার সক্ষমতা বাড়ানোই এখন শান্তির পথ।

তিনি আরো বলেন, ইউ শান জাহাজ আমাদের স্বায়ত্বশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং তাইওয়ান নিজের চেষ্টায় যুদ্ধ জাহাজ বানানোর প্রতীক। 

ইউ শান যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করেছে তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় সংস্থা সিএসবিসি কর্পোরেশন। জাহাজটির সামনে কামান দিয়ে সজ্জিত। এছাড়া এটি থেকে আকাশ ও স্থল পথের লক্ষ্যবস্তুকে তাক করা যায়। এ যুদ্ধ জাহাজ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া মিসাইল প্রতিরোধ করতে পারে। তাছাড়া জাহাজে থাকা সৈন্যরা দ্রুত কাছে আসা যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে বিধ্বংস করতে পারবে।

তাইওয়ানের বিমান বাহিনী নতুন ও অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান পেয়েছে। তবে সাইয়ের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর জন্য কয়েকটি সাবমেরিন নির্মাণের লক্ষ্য করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ২০২০ সালে প্রথমবার অত্যন্ত কৌশলে স্টিলথ কর্ভেট জাহাজের একটি বহর চালু করেছে তাইওয়ান।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর