চাকরি দিয়ে পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ করলো চীনা নাগরিক

দোভাষীর চাকরি দেওয়ার পর পাকিস্তানের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে। তবে চীনা নাগরিকের দাবি, তিনি শারীরিক সম্পর্ক করেছেন।

পুলিশের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক  চীনা নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ঐ বিদেশি নাগরিক। ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে কোরাল থানায় অভিযুক্ত চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মামলার তথ্যানুযায়ী, ১৬ বছর বয়সী কিশোরী নবম গ্রেডে পড়েন। তিনি ২০২১ সালের মে মাস থেকে ঐ চীনা নাগরিকের সঙ্গে দোভাষীর চাকরি করতেন। কিন্তু চাকরি শুরুর পর থেকেই তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাকে প্রথম ধর্ষণ করা হয়। এরপর নানা ধরনের হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন চীনা নাগরিক।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, একপর্যায়ে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হলেও পরিবারের কাছে প্রকাশ করেননি। এরপর তার বড় বোন শারীরিক অবস্থা দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তরুণীর অন্তঃসত্ত্বার খবর জানতে পারেন। এরপর ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। একইসঙ্গে তার পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাছাড়া নমুনা সংগ্রহের জন্য সন্দেহভাজন ও তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

পুলিশ আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন চীনার নাগরিক। তবে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।