বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চলতি বছরেই বিজেএমসির সব বন্ধ মিল চালু করা হবে: পাটমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯ ০৭ ০২  

চলতি-বছরেই-বিজেএমসির-সব-বন্ধ-মিল-চালু-করা-হবে-পাটমন্ত্রী

চলতি-বছরেই-বিজেএমসির-সব-বন্ধ-মিল-চালু-করা-হবে-পাটমন্ত্রী

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, এ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) সব বন্ধ মিল চালু করা হবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়ার জন্য শর্ত সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইজারা নিতে আগ্রহীদের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে এ শর্ত সংশোধনের প্রক্রিয়া শেষ হতে আরো ১৫ দিনের মতো সময় লাগবে। 

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের ষোলশহররস্থ আমিন জুটমিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মন্ত্রী। 

এর আগে মিলে পৌঁছে মন্ত্রী জুট মিলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং বন্ধ মিলটি ঘুরে দেখেন। এ সময় চট্টগ্রামস্থ বিজেএমসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাটমন্ত্রী বলেন, যখন মিলগুলো বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি মিলগুলো আবার চালু হবে। তারপর আমরা অনেক জল্পনা-কল্পনার পরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে করার একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে দেখি, সরকারের সঙ্গে পার্টনার খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিলের ব্যাপার। ৫-৬ বছর লেগে যায়।

তিনি বলেন, এ পর্যায়ে আমরা চিন্তা করলাম যে যত তাড়াতাড়ি পারি, মিলগুলো যেন চালু করা যায়। সোজা রাস্তা হলো ইজারা ভিত্তিতে। এ পর্যায়ে এসে লিজ নিতে আগ্রহীরা শর্ত সংশোধনের কথা বললেন। কারণ মিল চালু করতে হলে তাদের নতুন মেশিন লাগবে। একটা বড় ইনভেস্টমেন্টের ব্যাপার আছে। এখন লিজ নেয়ার পর যদি তাদের তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে তো তারা নতুন মেশিন আনবে না। সেজন্য আমরা শর্ত সংশোধনের চেষ্টা করছি।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) ভাড়া ভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব মিলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। 

সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলসমূহের বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ১ জুলাই ২০২০ তারিখ হতে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

২৫টি জুট মিলের সকল স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও, যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলার সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারিদের গ্রাচ্যুইটিসহ সব দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়িদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর