শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মেয়ের হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউক্রেনকে দুষলেন পুতিন

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২২ ০১ ০১ ০১  

ঘনিষ্ঠ-বন্ধুর-মেয়ের-হত্যাকাণ্ডের-জন্য-ইউক্রেনকে-দুষলেন-পুতিন

ঘনিষ্ঠ-বন্ধুর-মেয়ের-হত্যাকাণ্ডের-জন্য-ইউক্রেনকে-দুষলেন-পুতিন

নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আলেক্সান্দার দুগিনের মেয়ে দারিয়া দুগিনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীকে দোষারোপ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

দুগিনা হত্যাকে ‘জঘণ্য’, ‘নির্মম’ অপরাধ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। দুগিনা খুবই ‘বুদ্ধিমতি’ এবং ‘গুণী’ ছিলেন বলেও প্রশংসা করেছেন পুতিন। দুগিনা নিহতের ঘটনার পর পুতিন এই প্রথম তার প্রতিক্রিয়া জানালেন।

গত শনিবার রাতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন সাংবাদিক দারিয়া দুগিনা। তার বাবা ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ খ্যাত আলেক্সান্দার দুগিনই এই গাড়িবোমা হামলার লক্ষ্য ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনে রুশ সেনা পাঠানোর পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নেওয়া কট্টর জাতীয়তাবাদী দুগিন পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত।

রুশ গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, বাবা-মেয়ে দুজনেরই গত শনিবার সন্ধ্যার এক অনুষ্ঠান শেষে একসঙ্গে এক গাড়িতে করেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুগিন আর ওই গাড়িতে ওঠেননি। পথে গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সোমবার এ হামলার ঘটনায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী জড়িত বলে দোষারোপ করেছে। তবে ইউক্রেন হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ঘটনার পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সোমবার দুগিনার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং ক্রেমলিনের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করে এর তীব্র নিন্দা করেন।

পুতিন বলেন, “একজন সাংবাদিক, বিজ্ঞানি, দার্শনিক এবং যুদ্ধের সংবাদদাতা হিসাবে তিনি (দারিয়া দুগিনা) জনগণ এবং পিতৃভূমিকে সততার সঙ্গে সেবা দিয়েছেন। রাশিয়ার দেশপ্রেমিক বলতে কী বোঝায় তা তিনি তার কাজ দিয়ে প্রমাণ করেছেন।”

রাশিয়ার শাসকমহলে ‘পুতিনের রাসপুতিন’ খ্যাত আলেক্সান্দার দুগিন সরকারি কোনও পদে না থাকলেও তার বেশ প্রভাব আছে বলেই মনে করা হয়।

এ তাত্ত্বিকের মেয়ে, সুপরিচিত সাংবাদিক দুগিনা ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘সামরিক অভিযানের’ কট্টর সমর্থক ছিলেন।

মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে দুগিনা ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘সভ্যতার সংঘাত’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন; বাবা-মেয়ে দুজনই পশ্চিমাদের কালো তালিকায় থাকায় তিনি যে গর্বিত, তাও বলেছিলেন তিনি।

সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর