মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঋতু উৎসবের শুরু রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫ ০৩ ০২  

ঋতু-উৎসবের-শুরু-রবীন্দ্রনাথের-হাত-ধরেই-সংস্কৃতি-প্রতিমন্ত্রী

ঋতু-উৎসবের-শুরু-রবীন্দ্রনাথের-হাত-ধরেই-সংস্কৃতি-প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, শীত, হেমন্ত ও বসন্ত- এ ছয়টি ঋতুতেই বাংলার প্রকৃতি নতুন রূপে ও নতুন সাজে ধরা দেয়। ঋতু উৎসবের শুরু মূলত রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই। তিনি সব ঋতুকে নিয়েই লিখেছেন। এ বঙ্গে ঋতু উৎসব শুরু হয় ষাটের দশকে রাজধানী ঢাকায় ছায়ানটের পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে ঢাকা ছাড়িয়ে সারাদেশে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির সবচেয়ে বড় এ অসাম্প্রদায়িক উৎসব ছড়িয়ে পড়ে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পহেলা বৈশাখে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। 

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘শরৎ উৎসব-১৪২৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নৃত্যশিল্পী ড. নিগার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, শরৎ আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু। এ ঋতু এলেই দিগন্ত বিস্তৃত কাশফুল দেখতে বেরিয়ে পড়ি। রাজধানীর ঢাকার পূর্বাচল ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার খোলা স্থানসমূহ, উত্তরা ও আফতাবনগরে কাশফুলের বন দেখতে পাওয়া যায়। পদ্মাসেতু পার হওয়ার সময় নদীর দুদিকে পদ্মার চরেও কাশফুলের দেখা মেলে।

তিনি বলেন, শরতের বিকেল অসাধারণ। সাদা মেঘের ভেলা ও কাশফুলের শুভ্রতা মন জুড়িয়ে দেয়। এ ঋতুকে আমি খুব উপভোগ করি।

অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, মাসুদুজ্জামান, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি ও সেবতি প্রভা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী, অনিমা রায়, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, বিজন চন্দ্র বিশ্বাস, সঞ্জয় কবিরাজ, আরিফ রহমান, ফেরদৌসি কাকলি, রত্না সরকার, এস এম মেজবাহ, শ্রাবণী গুহ রায়, নবনীতা জাহিদ চৌধুরী অনন্যা, তাপসী ঘোষ ও মারুফ হোসেন। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন স্পন্দন, সুরবিহার, নৃত্যাক্ষ, ভাবনা, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস ও নৃত্যজন। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা, সুরনন্দন, পঞ্চভাস্কর, সুরবিহার ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর