উত্তেজনার মধ্যেই পারমাণবিক মহড়ার ঘোষণা ন্যাটোর

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ভয়ানক পর্যায়ে চলে গেছে। পশ্চিমাদের সহায়তায় অপ্রতিরোধ্য ইউক্রেন। আবার অপ্রতিরোধ্য ঠেকাতে কঠোর হলো রাশিয়া। এতে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক, সামরিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এ অবস্থায় পারমাণবিক মহড়া চালানোর ঘোষণা করলো সামরিক জোট ন্যাটো। সংস্থাটির প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ এ তথ্য জানান।

জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে বার্ষিক নিয়মিত পারমাণবিক প্রতিরোধমূলক মহড়া হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার ভূখণ্ড রক্ষায় তার হাতে থাকা সমস্ত উপায় ব্যবহার করার বিষয়ে তামাশা করছেন না- এমন কথা জানানোর পরও ন্যাটো আগামী সপ্তাহে তাদের দীর্ঘ-পরিকল্পিত পারমাণবিক অনুশীলন শুরু করবে।

‘স্টেডফাস্ট নুন’ নামক এ মহড়াটি প্রতিবছর একবার  প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলে। এতে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমান উড়বে কিন্তু কোনো বোমা বিস্ফোরণ করা হবে না। এছাড়া এতে প্রচলিত বিভিন্ন যুদ্ধবিমান, সার্ভেইলেন্স ও রিফুয়েলিং বিমানও নিয়মিত অংশ নেয়।

সামরিক জোট ন্যাটোর ৩০টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪টি দেশ এ মহড়ায় অংশ নেবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের আগেই এ মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ন্যাটোর একজন কর্মকর্তা বলেন, মহড়ার মূল অংশটি রাশিয়া থেকে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার স্টলটেনবার্গ বলেন, এ মহড়ার মাধ্যমে জানাতে চাই, ন্যাটোর পরমাণু অস্ত্র নিরাপদ, সুরক্ষিত ও কার্যকর রয়েছে।

ন্যাটোর এ মহাসচিব আরো বলেন, যদি নিয়মিত ও দীর্ঘদিন আগের পরিকল্পিত এ মহড়া বাতিল করি তাহলে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে অনেকের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

মূলত ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতেইগত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে  রাশিয়া। তবে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে না জড়ালেও কিয়েভকে নানাভাবে সহায়তা করছে পশ্চিমা দেশগুলো।