বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অনেক দেশের তুলনায় ডেঙ্গু কম: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১ ০৯ ০২  

অনেক-দেশের-তুলনায়-ডেঙ্গু-কম-স্থানীয়-সরকার-মন্ত্রী

অনেক-দেশের-তুলনায়-ডেঙ্গু-কম-স্থানীয়-সরকার-মন্ত্রী

এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কম বলে জানিয়েছন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 

মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের পদক্ষেপের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দফতর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এসব কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, এডিস বা ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও ২০২০,২১ ও ২২ সালে পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমরা সফলতা অর্জন করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বর্তমানে আবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আমরা এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো আছি।

অন্যদের সঙ্গে তুলনা করে কি আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আত্মতুষ্টির বিষয় নয়। এ কারণে আমরা ব্যথিত, দুঃখিত এবং উদ্বিগ্ন, যে কারণে আজকে সভা করা। মানুষের আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যু আমাদের কাছে দুঃখজনক। একজন মানুষের মৃত্যু কেন হবে!

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করার কারণ আমাদের অবস্থান এবং তাদের দেশের অবস্থান জানা। সমস্যা সমাধানে সব দেশই চেষ্টা করে। আমরাও করছি।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করে ছিলেন এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২০১৯ সালের থেকে বেশি হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা তাদের বিভিন্ন গবেষণা থেকে ধারণা করেছেন। তাদের ধারণা যে সব সময় ঠিক হবে সেটা বলা যাবে না৷ এর আগেও তারা ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন, কিন্তু তা ঘটেনি।

বর্তমানে ঢাকাতে করোনার থেকে ডেঙ্গু রোগীর আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য। জানুয়ারি থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গ আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এর মধ্যে ঢাকা ও কক্সবাজারে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।

সিটি কর্পোরেশনের সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনগুলো মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করে। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাই সিটি কর্পোরেশনের কাজ। কোনো কাজের মাধ্যমে যদি মানুষ হয়রানির শিকার হয় তা সমাধান করা মেয়রের দায়িত্ব। হকাররা হাঁটাচলার পথ এবং রাস্তার উপরে দোকান বসায় এটা সমর্থনযোগ্য নয়। এজন্য মেয়ররা এসব বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর