সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্তন্যদানকারী মায়েদের অত্যন্ত উপকারী যোগাসন

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪ ০২ ০১  

স্তন্যদানকারী-মায়েদের-অত্যন্ত-উপকারী-যোগাসন

স্তন্যদানকারী-মায়েদের-অত্যন্ত-উপকারী-যোগাসন

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর শরীর অনেকটাই ভেঙে যায় নারীদের। স্তন্যদুগ্ধ পান করাচ্ছেন এমন মায়েদের জন্য যোগাসন অত্যন্ত উপকারী। এই সময় নতুন মায়েরা যোগাসনের মাধ্যমে নিজের শারীরিক উন্নতি ঘটাতে পারেন। কারণ সন্তানকে স্তন্য পান করানোর সময় কোলে ধরে থাকার ফলে তার ওজন নিজের পিঠের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

অতএব যোগাসন করলে স্তন্যদানকারী মায়েদের অঙ্গভঙ্গি, নমনীয়তা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হবে। নানা যোগাসনের মাধ্যমে পিঠ ও ঘাড়ের পেশীকে নমনীয় ও শক্তিশালী করা যায়। তবে সন্তান প্রসবের পর কোনো অ্যাক্টিভিটি শুরু করার আগে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। 

স্তন্যদানকারী মায়েরা যোগাসনের ফলে কী উপকারিতা পেতে পারেন তা দেখে নিন।

>> সাধারণ ফিটনেস বিকশিত হবে।

>> হৃদগতি উন্নত হয়।

>> মানসিক সুস্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়ক।

>> শক্তি সঞ্চারিত হবে।

>> চাপ কমায়।

>>ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়।

>> হাড় মজবুত করতে সহায়ক।

>> প্রসবোত্তর অবসাদ মোকাবিলায় সাহায্য করে।

স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য যোগাসন উপকারী তা জেনে নিন এখানে।

​বিড়াল-গরু পোজ 

>> ম্যাটের ওপর টেবিলটপ পসিশনে ঝুঁকে থাকুন। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে হাঁটু ও হাতের পাতা মেঝে স্পর্শ করবে। ঠিক বিড়াল বা গরুর মতো পশ্চারে থাকতে হবে।

>>শ্বাসগ্রহণ করে নিজের পিঠ ধনুকের মতো বাঁকানোর চেষ্টা করুন, এ সময় মেঝের দিকে পেট চেপে রাখার চেষ্টা করবেন এবং ঘাড় প্রসারিত করে ওপরের দিকে তাকান।

>>শ্বাস ত্যাগ করে পিঠ স্বাভাবিক করুন ও মাথা নীচের দিকে এনে নাভির দিকে তাকান।

>> স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসুন এবং ৮ থেকে ১০ বার এই যোগাসন অভ্যাস করুন।

উপকারিতা

>> স্পাইনকে স্বস্তি দেয়।

>> কব্জি মজবুত করে।

>> পেটের নানান অঙ্গ, যেমন কিডনি, অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডকে ম্যাসাজ ও স্টিমুলেট করে।

>>সম্মুখভাগের ধড় ও ঘাড় স্ট্রেচ করে।

>> মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্প থেকে স্বস্তি দেয়।

​মুখ নীচু কুকুরের পোজ 

>> টেবিলটপ পজিশানে থাকুন। হাত ও হাঁটু মেঝে স্পর্শ করে থাকবে।

>> শ্বাস গ্রহণ করে নিজের নিতম্ব ওপরে তুলুন, হাঁটু এবং কনুই সোজা করুন। এ সময় শরীর উল্টো V আকৃতির দেখতে হবে।

>> হাত থাকবে কাঁধের সোজাসুজি এবং পা থাকবে নিতম্বের সমান্তরালে। পায়ের আঙুল সামনের দিকে পয়েন্ট করে থাকবে।

>> হাত দিয়ে মেঝেতে চাপ দিন ও কাঁধের ব্লেডগুলিকে প্রসারিত করুন। হাতের মধ্যে কান দুটি স্পর্শ করে রেখে ঘাড় সম্প্রসারিত করুন।

৫. নাভির দিকে তাকান ও ১০-১৫ সেকেন্ড এ ভাবেই থাকুন।

>> শ্বাস ত্যাগ করুন, হাঁটু মুড়ে নিন এবং টেবিল টপ পজিশানে ফিরে আসুন।

উপকারিতা

>> স্পাইন প্রসারিত করে।

>> শরীরের ঊর্ধ্বাংশের পেশী টোন করে।

>> বুকের পেশী মজবুত করে ও ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

>> হাত, কাঁধ, পা ও পায়ের পাতা মজবুত করে।

সূত্র: এই সময়

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী