যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েই চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, অস্বস্তিতে নাগরিকেরা
যুক্তরাষ্ট্রে-বেড়েই-চলেছে-নিত্য-প্রয়োজনীয়-দ্রব্যের-দাম-অস্বস্তিতে-নাগরিকেরা
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই অবস্থায় মানুষ এখন যে বেতন পাচ্ছে, সেটি দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে তাল মেলাতে পারছে না।
সুতরাং, জিনিসপত্রের দাম কবে কমে আসবে? আসছে নির্বাচনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কি কোন প্রভাব ফেলবে?
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এক কার্টন ডিমের দাম তিন ডলারের বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি ৩১৩ টাকার মতো)। ২০২১ সালের শুরুর জো বাইডেন যখন প্রেসিডেন্ট হন, তখন এর দাম ছিল এখনকার চেয়ে অর্ধেক।
গরু এবং মুরগির মাংসের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া এক গুচ্ছ কলার দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
৭৮ বছর মার্কিন নাগরিক এড্ডা চার্বন বলেন, "এটা খুব কঠিন সময়।"
জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করে করোনাভাইরাস মহামারির সময়, যখন মানুষ রেস্টুরেন্টে খাওয়া ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল এবং মুদি দোকানের জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ে।
তাছাড়া করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উৎপাদন ব্যবস্থাও ব্যহত হয়।
আরো পড়ুন>> শান্তির নোবেল গেল ইউক্রেন, বেলারুশ ও রাশিয়ায়
উৎপাদনের জন্য কোম্পানিগুলোর যে অতিরিক্ত খরচ হয়, সেটি তারা ভোক্তাদের উপর ঠেলে দিয়েছে। যেমন তাদের মজুরি বাড়াতে হয়েছিল এবং জ্বালানির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে।
এরপর চলতি বছরে যখন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সাথে সাথে সার, গম এবং অন্যান্য শস্যের সরবরাহ বিঘ্নত হয়।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে শস্যের উৎপাদন ব্যহত হয়েছে। অন্যদিকে বার্ডফ্লু ছড়িয়ে পড়ার জন্য ডিমের সরবরাহ কমে যায়।
বাংলাদেশ চিনি, তেল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যে কবে স্বনির্ভর হবে
দ্রব্যমূল্য কখন কমে আসবে?
রেস্টুরেন্টে খাবার দাম শুধু বেড়েই চলেছে। যদিও মুদি দোকানের জিনিসপত্রের দাম মাঝে মধ্যে কমেছে।
কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কমে আসার জন্য চাহিদার সাথে সংগতি রেখে জোগানও বাড়তে হবে।
সেক্ষেত্রে কিছু ভালো খবর আছে। গত কয়েকমাসে জিনিসপত্রের দাম বিশ্বজুড়ে কমেছে। জ্বালানি তেলের দামও কমেছে।
এড্ডার মতো অনেকেই কমদামী খাদ্য পণ্যের দিকে ঝুঁকেছেন।
আরো পড়ুন>> হিমালয়ে ভয়াবহ তুষারধস, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো যদিও দাম বাড়িয়ে দিয়ে ভালোই মুনাফা করছে, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়ানো তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে খুব সহসা জিনিসপত্রের দাম কমবে না। কোকাকোলা এবং বিভিন্ন কোম্পানি বলছে, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকবে।
"ভবিষ্যত খুব অনিশ্চিত," বলছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ জেসন লাস্ক।
জো বাইডেন কী করছেন?
আমেরিকানরা ধারাবাহিকভাবে বলছে, অর্থনীতি এবং মূল্যস্ফীতি তাদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের জায়গা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপর অসন্তুষ্ট ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকানরা আরো বেশি অসন্তুষ্ট।
"তিনি ভালো কাজ করেননি," বলছিলেন টেক্সাসে বসবাসরত ৩৬ বছর বয়সী রোমিশা লোয়ারি। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক ভোটার।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য, গ্যাস এবং অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়ে যাবার কারণে তার পরিবার ফুড প্যান্ট্রিতে গিয়ে সাহায্য চাইতে হয়েছে।
"গত দুই বছরে আমার মনে হচ্ছে, ট্রাম্পের সময় আমরা যতটা গরীব ছিলাম, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি গরীব হয়ে গেছি," বলেন রোমিশা লোয়ারি।
আরো পড়ুন>> মায়ের ফ্ল্যাট পরিষ্কার করতে গিয়ে মিললো লটারি টিকেট, লাখ টাকা পেল মেয়ে
দাম কমানোর জন্য বাইডেন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। গ্যাসের দাম কমিয়ে আনার জন্য আমেরিকার তেলের রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল ছাড় দিয়েছেন তিনি। এটা অভূতপূর্ব।
খাদ্য-পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন মাংসের বাজারে প্রতিযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে সার কিনতে পারে, সেজন্য তাদের সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।
ডেমোক্রেটরা তথাকথিত 'ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট ২০২২' পাশ করেছে।
দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য আইন প্রণয়নের মতো পদক্ষেপ হয়তো রাজনৈতিকভাবে ভালো হতে পারে। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন আইন প্রণয়ন করে মূল্যস্ফীতির কোন প্রভাব পড়বে না।
অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা মূল্যস্ফীতির বিষয়টিকে তাদের বিজয়ের জন্য একটি ইস্যু হিসেবে দেখছেন।
নেব্রাস্কার রিপাবলিকান প্রতিনিধি একটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। সেখানে দেখানো হচ্ছে যে তিনি তার স্ত্রীকে 'বাইডেন বার্গার' দিচ্ছেন। এটি ছোট আকারের, কিন্তু উচ্চ মূল্যের একটি বার্গার।
দ্রব্যমূল্য কোথায় গিয়ে ঠেকেছে - সেটি বোঝানোর জন্য তিনি এটির নাম দিয়েছেন 'বাইডেন বার্গার'।
আরো পড়ুন>> শৈশব ফেরাতে মোবাইল-টিভির ওপর নিষেধাজ্ঞা
মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য মূল্যস্ফীতি কত বড় ইস্যু?
আগামী নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে কংগ্রেস কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং অনেক অঙ্গরাজ্যের নেতৃত্ব ঠিক হবে। তবে এই নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ কম থাকে।
রাজনৈতিক দলগুলো চেষ্টা করে তাদের মূল সমর্থকদের ভোট দানে উদ্বুদ্ধ করতে।
সাধারণত প্রেসিডেন্টের দল মধ্যবর্তী নির্বাচনে আসন হারায়। তবে ডেমোক্রেটরা মনে করছে, তারা যতটা আশংকা করেছিল নির্বাচনের ফলাফল ততটা খারাপ হবে না। যদিও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাদের বিপক্ষে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার প্রতিযোগীও কম।
ডেমোক্রেটদের শক্ত ঘাঁটিগুলোতে গর্ভপাত বিতর্কে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি কিছুটা চাপা পড়েছে।
গর্ভপাত করার যে সাংবিধানিক অধিকার, সেটি সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দেবার পর আলোচনায় এসেছে।
এছাড়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ আছে। রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পৃক্ত হবার পর থেকে এটি তৈরি হয়েছে।
রিপাবলিকানদের জন্য অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া। এছাড়া রিপাবলিকান প্রার্থীরা ইমিগ্রেশনের বিষয়টিকেও সামনে আনছে।
জনমত জরিপ বিশ্লেষক লি মিরিঙ্গফ বলেন, "শুধু গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়টিকে সামনে এনে নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।"
তিনি বলেন, "মানুষের ধারণা পরিবর্তন হয়ে যায়। সেজন্য আপনি শুধু একটি ইস্যুর উপর ভিত্তি করে প্রচারণা চালাতে পারে না।"
জনমত জরিপে দেখা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নির্ভর করে রাজনৈতিক পক্ষপাতের উপর।
মিরিঙ্গফ বলেন, অনেক ভোটার এরই মধ্যে তাদের মনস্থির করে ফেলেছে। তিনি মনে করেন, ভোটারদের মনোভাব খুব একটা পরিবর্তন দেখা যাবে না।
সূত্র: বিবিসি
- সোনারগাঁও হোটেলের নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
- যায়যায়দিনের বিশেষ প্রতিনিধিকে হুমকি দিল মানব পাচারকারী
- পঞ্চগড় থেকে আরো বেশি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা
- খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন ৮ নভেম্বর
- সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো নয়: তারেক রহমান
- সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিক সহকারী অধ্যাপক একলাছুর রহমান একলাছ
- স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র প্রতিষ্ঠাতা এ হান্নান ফিরোজ জন্মবার্ষ
- সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিক আলাউদ্দিন নাসিম
- সিঙ্গাপুরে গড়েছে অপরাধের সামাজ্র্য
অনিয়ম ও দুর্নীতি`র বরপুত্র হন্ডি জামান - মেহেরুন মনসুরের বিলাসবহুল জীবনযাপনের অর্থের মূল উৎস কোথায় ?
- স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পুনর্বহা
- বেনজীরের ব্যবসায়িক পার্টনার রাসেলের ইউসিবি ব্যাংক দখলের পায়তারা
- পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয় বাংলাদেশের
- হত্যা ও চাঁদাবাজির হুমকিতে আতঙ্কিত আড়াইহাজারের ব্যবসায়ীরা
- প্রবাসী তানভীর অপুর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
- প্রফেশনাল বক্সিং সোসাইটির উদ্যোগে বন্যা দুর্গতের ত্রাণ বিতরণ
- যায়যায়দিনের বিশেষ প্রতিনিধিকে হত্যার হুমকি
- একরামুন্নেছার প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা`র পদত্যাগ
- ডুবতে বসেছে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল
- সাবেক এমডি তুহিন রেজার বিরুদ্ধে ফাস্ট ফাইনান্সের করা মামলা খারিজ
- অতিষ্ঠ বনশ্রীবাসী
বনশ্রীর অঘোষিত ডন সাব্বির - রাজস্ব আদায় ও রিজার্ভ সংকট।
- প্রভাষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ
- বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন
- বইমেলায় হুমায়রা স্যারনের তিনটি হরর থ্রিলার বই
- আইএসডিবি আইটি গ্র্যাজুয়েটরা
আইটি সেক্টরে উল্লেখ্য অবদান রাখছে - বইমেলায় ফারহানা মোস্তফা লিজার ‘দৌর্মনস্য ও কোরআন’
- পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাল জাহানারা বাসার
- পঙ্গু স্বামী-সন্তান নিয়ে ধারে ধারে ঘুরছে রিক্তা
ভূমি খেকুর দখলে বসতভিটা - সৌদি আরব সকল দেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে: রাষ্ট্রদূত
- ইমরান খানের বিরুদ্ধে ১৬ মামলা
- গ্রাম ভাসিয়ে ফণী-তাণ্ডব ওড়িশায়
মৃত অন্তত ২, বন্ধ টেলি যোগাযোগ - জ্বলছে ভূ-স্বর্গ!
- খোলামেলা ছবি পোস্ট করায় চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল
- বোকো হারামের হামলায় সেনাসহ নিহত ৩৭
- মাকে দ্বিতীয় বিয়ে দিল ছেলে, কি সেই কারণ?
- সৌদির দুই বিমানবন্দরে হুতিদের ড্রোন হামলা
- জনসংখ্যায় সবচেয়ে ছোট যে দেশ
- স্বামীর কুকুর প্রীতির গোমর ফাঁস করলেন স্ত্রী
- বৈঠকে বসছেন বাইডেন-জিনপিং
- খেরসনে ইউক্রেনের আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুত রুশ সেনারা
- লাশের পকেটে মিলল ৩৮ লাখ টাকার লটারি জেতার টিকেট
- আইএস’র ভয়ংকর যৌন নির্যাতনের ঘটনা জানালেন নাদিয়া মুরাদ
- হাতে হাত রেখে মা ও ছেলের মৃত্যু
- গৃহপরিচারকের বেতন দেড় লাখ