মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মঙ্গলগ্রহে ভারতের প্রথম অভিযানের সমাপ্তি

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২২ ১২ ১২ ০১  

মঙ্গলগ্রহে-ভারতের-প্রথম-অভিযানের-সমাপ্তি

মঙ্গলগ্রহে-ভারতের-প্রথম-অভিযানের-সমাপ্তি

যাত্রা শুরুর আট বছর পর অবশেষে সমাপ্তি ঘটলো মঙ্গল গ্রহে ভারতের প্রথম অভিযানের। ‘মার্স অরবিটার মিশন’ বা সংক্ষেপে ‘মম’ (MOM)-এর প্রপেলান্ট বা জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছে। লাল গ্রহের কক্ষপথে তার ব্যাটারিকে আর জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে না এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

তাই মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলযানের যাত্রা শেষ হয়েছে। এই বিষয়ে অবশ্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ইসরোর এক সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলযানে আর কোনও জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। স্যাটেলাইটের ব্যাটারিও শেষ হয়ে গেছে। এমনকি ইসরোর সঙ্গে মহাকাশযানটির সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ওই সূত্র।

নাম প্রকাশ না করা সূত্রের বরাতেই পিটিআই জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি একের পর এক গ্রহণ হয়েছে। সাত থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরেল চলেছে একেকটি গ্রহণ। এদিকে, স্যাটেলাইটের ব্যাটারিটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছিল, যাতে সেটি এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট পর্যন্ত চলা গ্রহণ সহ্য করতে পারে। সেই সময়কাল পেরিয়ে যাওয়াতে ব্যাটারির সব শক্তি ফুরিয়ে গিয়েছে।’

আরো পড়ুন>> হারিকেন ইয়ানের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫

তবে, বিস্ময়কর ব্যাপার হলো মঙ্গলযান মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথের মাত্র ছয় মাস ধরে চলতে পারবে এমন কথা ভেবেই নকশা করা হয়েছিল। সেই হিসেবের খতিয়ান উল্টে দিয়ে মহাকাশযানটি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে।

২০১৩ সালে মঙ্গলযানটিকে একটি পিএসএলভি-সি২৫ রকেটের মাধ্যমে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। এটিই ছিল ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহের মহাকাশ অভিযান।

এই অভিযানে ৪৫০ কোটি রুপি খরচ হয়েছিল। মহাকাশযানটিতে পাঁচটি যন্ত্র ছিল– মার্স কালার ক্যামেরা, থার্মাল ইনফ্রারেড ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার, মিথেন সেন্সর ফর মার্স, মার্স এক্সোস্ফেরিক নিউট্রাল কম্পোজিশন অ্যানালাইজার এবং লাইম্যান আলফা ফটোমিটার।

সূত্র: এনডিটিভি

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর