শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রতিবন্ধীরাও দেশের উন্নয়নের অংশীদার: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২২ ১৯ ০৭ ০২  

প্রতিবন্ধীরাও-দেশের-উন্নয়নের-অংশীদার-তথ্যমন্ত্রী

প্রতিবন্ধীরাও-দেশের-উন্নয়নের-অংশীদার-তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্ত করায় বাংলাদেশে আজ তারাও উন্নয়নের অংশীদার। 

সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেনেভায় দুদিনের জাতিসংঘের কনভেনশন অন দ্য রাইটস অব পারসনস উইথ ডিজ্যাবিলিটিস বিষয়ক কমিটির ২৭তম অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।

জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সমাজকল্যাণ সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন।

ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রতিবন্ধীসহ সবাইকে দারিদ্র্যমোচনসহ সব জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম এবং স্নায়বিক ও মানসিক ব্যাধির চিকিৎসা, সেবা উন্নয়ন, গবেষণা ও এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে  নিরলস কাজ করছেন। 

তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসতে সরকার প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধি, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ, প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ ও তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সুলভ করতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করছে। 

এ বিষয়ে দেশের বিদ্যমান আইন-কানুন সম্পর্কে বিবরণ দিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রণীত প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজ্যাবিলিটিস প্রটেকশন ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৮, মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ সহ সকল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

অধিবেশনে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এতিম অটিস্টিক শিশুদের দায়-দায়িত্ব সরকার বহন করবে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয়প্রাপ্ত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নোয়াখালীর ভাসানচরে নির্মিত ক্যাম্পেও প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। 

বক্তব্য শেষে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা  কনভেনশন কমিটি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০০৭ সালে প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত জাতিসংঘের কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে এবং নিয়মিত দেশভিত্তিক 
পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়ক প্রথম পর্যালোচনাটি এ অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী ২৫-২৬ আগস্ট সম্মেলন শেষে ২৭ আগস্ট ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর