সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নতুন অর্থমন্ত্রী পেল যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ১৯ ০৭ ০২  

নতুন-অর্থমন্ত্রী-পেল-যুক্তরাজ্য

নতুন-অর্থমন্ত্রী-পেল-যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জেরেমি হান্ট। কোয়াসি কোয়ার্তেংয়ের ‘পদত্যাগের’ কয়েক মুহূর্তের পর তাকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেলে এ তথ্য জানানো হয়। 

জেরেম হান্ট যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। তিনি বড় নেতৃত্বের প্রত্যশায় ছিলেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছ থেকে যথেষ্ট সমর্থন পাননি। এজন্য তিনি ঋষি সুনাককে সমর্থন করেন।  এই বছরে হান্ট হবেন যুক্তরাজ্যের চতুর্থ অর্থমন্ত্রী।

এর আগে, যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্তেংয়ের পর দেশটির ট্রেজারির মুখ্য ক্রিস ফিলপকে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তারও আগে, যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্তেংকে বরখাস্ত করেন লিজ ট্রাস।

বিবিসি জানায়, লিজ ট্রাস সরকারের বিতর্কিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার (মিনি-বাজেট) কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা রয়েছে। তাই অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্তেং তার দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে।

কোয়ার্তেং যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে দ্বিতীয় স্বল্প মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দেশটির সবচেয়ে কম সময় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন লেইন ম্যাকলিওড। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের ৩০ দিনের মাথায় হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্য চারজন অর্থমন্ত্রী পেয়েছে। এরমধ্যে নাদিম জাওয়াহিরি তৃতীয় স্বল্প মেয়াদে (৬৩ দিন) অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বরিস জনসনের মন্ত্রী সভায় রদবদলের সময় সাজিদ জাবেদ ২০৪ দিন চতুর্থ স্বল্প মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। 

বিবিসি জানাচ্ছে, কোয়াসির বরখাস্তের খবর প্রকাশের পর ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মান কমতে শুরু করেছে। ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের মান ১.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু কোয়াসের বরখাস্তের খবর প্রকাশের পর সেটি ১.২ শতাংশে নেমে গেছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্তেং-কে বরখাস্ত করায় প্রকাশ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগ চাইছেন কনজার্ভেটিভসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একাংশ।

কোয়াসিকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনার খবর পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেন কনজার্ভেটিভসের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। তারা আগামী সপ্তাহে এটি নিয়ে শক্তভাবে কথা বলবেন।

সাবেক মন্ত্রিসভার মন্ত্রীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করছেন, ট্রাসের প্রধানমন্ত্রীর পদটি ধরে রাখা অসম্ভব। কারণ কোয়াসি তার নীতি প্রয়োগ করে ফেলেছেন। 

সূত্র বলছে, কোয়াসির মিনি বাজেটের নীতি অনুযায়ী কর মওকুফের কথা বলেছিলেন লিজ ট্রাস। এ নীতির ওপর থাকার জন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে জিতেছিলেন। এখন কোয়াসিকে দোষারোপ করা তার জন্য হাস্যকর। সূত্র জানায়, কোয়াসিকে মানুষ ভালো বাসে। তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ। তিনি সৎ। তিনি একটু বেশিই সৎ। এটিই তার সমস্যা।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর