ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল মাঠের সংঘর্ষে নিহতদের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল স্টেডিয়ামে নিহতদের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (২ অক্টোবর) প্রাথমিকভাবে ১৭৪ জনের মৃত্যুর তথ্য ছড়িয়ে পড়লেও জোকো উইদোদো প্রশাসন ১২৫ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে।

পূর্ব জাভার ডেপুটি গভর্নর এমিল দারদাক বলেছেন, আগের পরিসংখ্যানে কোন কোন মৃতের সংখ্যা একাধিকবার গণনা করা হয়েছে। ফলে শুরুতে ১৭৪ জন বলা হলেও পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ১২৫ জন মৃতের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষে এরইমধ্যে পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হচ্ছে মরদেহ। বিভিন্ন এলাকায় চলছে জানাজা ও দাফন। ফুটবল মাঠের সংঘর্ষে একাধিক সদস্যকে হারিয়ে অনেক পরিবারই শোকে স্তব্ধ। তারা সরকারের ক্ষতিপূরণ বা সমবেদনা চান না। তাদের দাবি তুলেছেন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের।

ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষও সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে শোচনীয় এই ফুটবল স্টেডিয়াম বিপর্যয়ের তদন্ত শুরু করেছে।

আরো পড়ুন>> পুতিনকে যে অনুরোধ জানালেন পোপ ফ্রান্সিস

শনিবার রাতে পূর্ব জাভার মালাং শহরে কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে আরেমা এফসি প্রতিদ্বন্দ্বী পারসেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর পরাজিত দলের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার ফুটবল ভক্ত মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ার পর পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। আর তখনই এই পদ-দলনের ঘটনা ঘটে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আরেমা এবং তাদের তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী পারসেবায়া সুরাবায়ার মধ্যকার খেলায় স্টেডিয়ামটিতে উপস্থিত দর্শক সংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি ছিল।

আরো পড়ুন>> দ্বিতীয় দফায় গড়ালো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান নিকো আফিনতা বলেছেন, ভিডিওতে দেখা গেছে খেলার শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে সমর্থকরা মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এরপর পুলিশ টিয়ার শেল ছুঁড়তে শুরু করে এবং এ সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে এবং দমবন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো।

দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, স্টেডিয়ামটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চার হাজার দর্শক বেশি ছিলো।

এদিকে ঘটনাটির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের শীর্ষ লীগের সব খেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

সূত্র: আল-জাজিরা