মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সূর্যাস্তে ধরলা পাড়ে ছুটছে মানুষ

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২২ ২০ ০৮ ০১  

সূর্যাস্তে-ধরলা-পাড়ে-ছুটছে-মানুষ

সূর্যাস্তে-ধরলা-পাড়ে-ছুটছে-মানুষ

কুড়িগ্রামে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের উৎসাহ দিনে দিনে বাড়ছে। এখানে বড় ধরনের কোনো পর্যটন কেন্দ্র বা পার্ক গড়ে না ওঠায় এখানকার ভ্রমণ পিপাসু মানুষ তাদের মনের খোরাক মেটাতে ছুটছেন নদীর পাড় বা বড় কোনো সেতু পাড়ে।

কুড়িগ্রামের ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ পিপাসা মেটাতে ভূমিকা রাখছে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট ব্রিজ, সোনাহাট স্থলবন্দর, কুড়িগ্রাম ধরলা সেতু, ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী সেতু বা শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধরলা সেতু ও সেতু পাড়ের চরাঞ্চল।

এরই মধ্যে বর্তমানে ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর তীরে প্রতিদিনেই ভ্রমণ পিপাসু দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে। এখানকার ফুলবাড়ী সেতু উপর থেকে ও সেতুর নিচের ধরলা নদীর চরাঞ্চল থেকে সূর্যাস্ত পরিষ্কার ও স্বচ্ছভাবে দেখা যাওয়ায় এখানে ছুটছেন দর্শনাথীরা।

দূর-দুরান্তের মানুষেরা এখানে এসে মনের খোরাক মেটাচ্ছেন। প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ আসছেন ধরলা নদীর পাড়ে। 

ভ্রমণে আসা স্থানীয় মনছুর আলী বলেন, ফুলবাড়ী সেতু উপর থেকে ও সেতুর নিচের ধরলা নদীর চরাঞ্চল থেকে সূর্যাস্ত খুবই সুন্দর দেখা যায়। ঐ সময় সূর্য ডিমের কসুমের মতো লাল হলুদ বর্ণের আকার ধারণ করে। যা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে। আমি ধরলা পাড়ে সূর্যাস্তের অপরূপ মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরে নিজে মুগ্ধ হয়েছি।

ভ্রমণ পিপাসু শাওন বলেন, কুড়িগ্রামে কোনো পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় বাধ্য হয়েই আমরা ধরলা নদীর পাড়ে গিয়ে মনের খোরাক মেটানোর চেষ্টা করছি। ধরলা নদীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করছে। ফুলবাড়ী সেতু বা শেখ হাসিনা দ্বিতীয় ধরলা সেতু পাড়ের চরাঞ্চল থেকে সূর্যাস্তের মুহূর্ত দেখে আমরা বেশি এনজয় করছি। এখানে বারবার ছুটে আসতে হচ্ছে আমাদের। সময় পেলেই আমি ধরলা নদীর পাড়ে ছুটে যাচ্ছি।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী