শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুগন্ধি মরিচ চাষে আয় লাখ টাকা

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০১  

সুগন্ধি-মরিচ-চাষে-আয়-লাখ-টাকা

সুগন্ধি-মরিচ-চাষে-আয়-লাখ-টাকা

অল্প জমিতে ক্ষেত আর স্বল্প পরিচর্যায় মিলছে বেশি মুনাফা। রোদ কিংবা বৃষ্টিতে নেই তেমন কোনো রোগ-বালাই। ফলে সামান্য উৎপাদন খরচে চাষিরা আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। তাই বাঁশ আর পলিথিনের তৈরি শেড পদ্ধতিতে এখন ১২ মাসই চলছে সুগন্ধি মরিচের আবাদ। ফলে দেশি প্রজাতির এই সুগন্ধি মরিচের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় দিনে দিনে উদ্যোগী হচ্ছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উপকূলীয় কৃষকরা। 

উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির ইসলামপুর গ্রামের চাষি নজরুল ও ইব্রাহীম। তারা দুইজনেই শেড পদ্ধতিতে আবাদ করেছেন সুগন্ধি মরিচের। 

সুগন্ধি মরিচ চাষে আয় লাখ টাকা
চাষি ইব্রাহীম বলেন, ১৮ শতক জায়গায় শেড তৈরি করে রোপণ করেছি ৭ শতাধিক মরিচের চারা। মাত্র ৫৫ হাজার টাকা উৎপাদন খরচে একটি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ফল এসেছে সিংহভাগ গাছে। অপেক্ষা পরিপক্ক ফসলের। সবকিছু ঠিক থাকলে দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহের মাধ্যমে ২ লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবো। 

তিনি আরো বলেন, সুগন্ধি মরিচে লাভ ভালো হওয়ায় শেড করে মরিচের চাষাবাদ শুরু করেছেন অনেকেই।
 
চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, ১২ শতক জমিতে শেড করে প্রায় ৫ শতাধিক মরিচের চারা রোপণ করেছি। ক্ষেতে উৎপাদিত মসলা জাতীয় এই ফসল বিক্রি করে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করি। এ বছর অনাবৃষ্টিতে রোদের তীব্রতা বেশি থাকায় কিছুটা মরিচের ফুল ঝড়ে গেছে, তা না হলে আরো বেশি লাভ হতো। 

সুগন্ধি মরিচ চাষে আয় লাখ টাকা

কলাপাড়া কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। এছাড়া বালাইনাশকসহ সব ধরনের সার প্রয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য কৃষককে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি শেড পদ্ধতিতে মসলা জাতীয় ফসল চাষে কৃষকরা আরো উদ্যোগী হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী