সাকিবের ফিফটি তবুও হারের শংকায় বাংলাদেশ

সাকিব ফেরার সাথে সাথে যেন হারের শংকাটাই সত্য হলো। ১৫৪ রানে ৭ উইকেট নাই বাংলাদেশের। 

এর আগে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২০৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে দারুণ শুরুর পর ইনিংস বড় করতে পারলেন না সৌম্য সরকার। আফিফ হোসেনও ফিরলেন দ্রুত। ৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর হতাশ করেছেন নুরুল হাসান সোহানও, আউট হন ২ রানে।

এমন চাপের মুখেও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লড়াই চালিয়ে ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন। যদিও বাংলাদেশের এই ম্যাচ জেতা কঠিন। জিততে হলে ২৫ বলে ৭৪ রান দরকার, হাতে আছে ৪ উইকেট।

বোল্টের প্রথম ওভারেই বল আকাশে তুলে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলারসহ চার ফিল্ডার দৌড়ে এসে বলের দিকে তাকিয়ে থাকলেও ভুল বোঝাবুঝিতে কেউ হাত বাড়াননি। শূন্য রানে বেঁচে যান শান্ত। তৃতীয় ওভারে অ্যাডাম মিলনের বলে আরেকবার জীবন পান শান্ত। এবার মিডঅনে ক্যাচ ফেলে দেন টিম সাউদি। তবে দুইবার বেঁচে গিয়েও ১২ বলে ১১ করে ফেরেন শান্ত। এরপর লিটন ১৬ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৩ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দারুণ কিছু শট খেলে তিনিব্রেসওয়েলের বলে আউট হন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তবু ২ উইকেটে ৫২ রানের ভালো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার আর সাকিব আল হাসান ২৭ বলে যোগ করেন ৪৩ রান। দারুণ গতিতে ছুটছিল জুটিটি। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে সৌম্যও খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। কিন্তু দশম ওভারের শেষ বলে মিলনের শর্ট বলের ফাঁদে পা দেন সৌম্য। থার্ডম্যানে তুলে দেন ক্যাচ। ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে গড়া সৌম্যর ২৩ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। এরপর আফিফ হোসেন ৪ বলে ৪ রানে ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ব্রেসওয়েলের ঘূর্ণিতে।

এর আগে টাইগার বোলারদের পিটিয়ে ৫ উইকেটে ২০৮ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় কােরায় নিউজিল্যান্ড। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২০৯ রান।

ক্রাইস্টচার্চে এই ম্যাচে টস জেতেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

তবে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ভয়ংকর চেহারায় হাজির হন ফিন অ্যালেন। ২৫ বলে তিনি ৪৫ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ের সঙ্গে।