বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেষ ওভারে পাকিস্তানকে জিতিয়ে আনন্দে ভাসছেন নাসিম

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪ ০২ ০১  

শেষ-ওভারে-পাকিস্তানকে-জিতিয়ে-আনন্দে-ভাসছেন-নাসিম

শেষ-ওভারে-পাকিস্তানকে-জিতিয়ে-আনন্দে-ভাসছেন-নাসিম

শেষ ওভারে ফজল হক ফারুকি যে কি ভাবছিলেন! তার করা ফুল টস বলটা লং অফের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে উড়ে যেতেই হেলমেট খুলে ফেললেন নাসিম শাহ। দৌড়াতে শুরু করলেন আনন্দে। ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকিয়ে ততক্ষণে তিনি যে পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের ফাইনালে তুলে ফেলেছেন।

ম্যাচটা যে এতটা উত্তেজনাপূর্ণ হবে তা হয়তো কেউই ভাবতে পারেননি। তবে বুধবার জমজমাট লড়াইয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে নাসিম শাহের অবিশ্বাস্য দুই ছক্কায় ঠিকই আফগানিস্তানকে হারিয়েছে পাকিস্তান।

নাসিম শাহের নামের পাশে লেখা থাকে বোলার। তার বোলিং এবারের এশিয়া কাপে কাঁপিয়ে দিয়েছে লোকেশ রাহুলদের। কিন্তু বুধবার ব্যাট হাতে তার দুটো ছয় না থাকলে পাকিস্তানের ফাইনালের ওঠার পথ কঠিন হয়ে যেতে পারত।

আর তাই রবি শাস্ত্রী ম্যাচ শেষে নাসিমকে যখন বললেন, ‘আজ থেকে তো তুমি বোলার থেকে অলরাউন্ডার হয়ে গেলে’, সেটা শুনে এক গাল হাসি দেখা গেল নাসিমের মুখে। যা ছিল স্বস্তির হাসি। দেশকে ফাইনালে তোলার হাসি। ১৯ বছরের তরুণ নাসিম যে তখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে তিনি পেরেছেন।

পেসার মানেই তার চোখেমুখে থাকবে আক্রমণাত্মক ভাব। বিপক্ষের মাথা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার। একটা হিংস্র ভাব থাকবে তার মুখে। নাসিমকে দেখলে সে সব মনেই হবে না। তার মুখে সব সময় সরল হাসি। তাকে রাগতে দেখা যায় না।

দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা নাসিমের কাছে ক্রিকেট খেলাটা প্রয়োজন ছিল। ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন। জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে বাধা এসেছে। কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছেন বার বার। তার কাছে ক্রিকেটার হওয়া ছিল স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্ন এখন সত্যি। পাকিস্তানের জার্সি নিয়মিত পরছেন নাসিম। ম্যাচও জেতাচ্ছেন।

বুধবার দেশকে ফাইনালে তুলে নাসিম বলেন, ‘যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, নিজের উপর বিশ্বাস ছিল যে ছয় মারতে পারব। আমি ছয় মারার অনুশীলন করেছি। জানতাম ওরা আমাকে ইয়র্কার করবে। সে রকম ফিল্ডিংই সাজিয়েছিল ওরা। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। নেটে যা অনুশীলন করেছি সেটাই মাঠে করতে হত। সেটাই করেছি।’

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী