বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাখো পর্যটকে মুখর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২২ ১৯ ০৭ ০২  

লাখো-পর্যটকে-মুখর-কক্সবাজার-সমুদ্র-সৈকত

লাখো-পর্যটকে-মুখর-কক্সবাজার-সমুদ্র-সৈকত

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র নগরী কক্সবাজার। দুর্গাপূজা এবং ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। দেশ বিদেশ থেকে ছুটে এসেছেন লাখ লাখ মানুষ।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতি, টুয়াকসহ অন্যান্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলোতে এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। কিছু কিছু হোটেলে শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।

ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক দম্পতি ওসমান গনি ও শিউলী বেগম বলেন, সরকারি চাকরির কারণে খুব একটা ছুটি পাওয়া যায় না। এবার টানা ছুটি পাওয়া কক্সবাজার চলে এসেছি পুরো পরিবার নিয়ে অনেক বেশি ভালো লাগছে।

ঢাকা মিরপুর থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক শাহরিয়ার কবির বলেন, ইট পাথরের দুনিয়া ছেড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সমুদ্র নগরী কক্সবাজার এসে আনন্দের সীমা নেই। এখানে এলে মনটা সাগরে মতো বিশাল হয়ে যায়। বিশুদ্ধ আবহাওয়া ও নীল আকাশের নিচে নীলাভ জলরাশি চোখ বুঝে  উপভোগ করলে জীবনের সুখ দুঃখের অনেক কিছুই মনে পড়ে। 

আরেক পর্যটক লিলি চৌধুরী বলেন, গত ৩ অক্টোবর সকালে এসেছি কক্সবাজার। রাতে পর্যটনমেলা উপভোগ করতে পেরেছিলাম। এখনো অবস্থান করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে রোববার ফিরব ঢাকা। খাবারসহ হোটেল ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে মনে হলো।

হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, সাত দিনব্যাপী পর্যটন মেলা ৩ অক্টোবর শেষ হলো। মেলাকে কেন্দ্র করেও প্রচুর পর্যটক এসেছে। অন্যদিকে সরকারি ছুটিসহ আবার পড়েছে শুক্রবার-শনিবার। তার মধ্যে আবার রোববার  রয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবী  যার কারণে প্রায় সপ্তাহ জুড়ে বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই ছুটি কাটাতে  প্রচুর পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো ও কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, দূর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন উপলক্ষে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছেন। গতকাল আমরা দেখেছি সৈকতে লাখ লাখ মানুষের ঢল। কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল সৈকতের  সবকটি পয়েন্ট।  হোটেল-মোটেল গুলোতে  ব্যাপক  সাড়া পাওয়া যাচ্ছে । প্রশাসনের সাথে পর্যটনের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা করছে।

একদিকে দুর্গাপূজা অন্যদিকে ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার। আর এই বিশেষ পরিস্থিতিতে  সার্বিক নিরাপত্তা এবং লাইফ গার্ডের পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর উপর তাগিদ দিয়েছে পর্যটকরা।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী