রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লবণ নিয়ে দুই পরিবারে ঝগড়া, প্রাণ গেলো বৃদ্ধের

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২০ ০৮ ০১  

লবণ-নিয়ে-দুই-পরিবারে-ঝগড়া-প্রাণ-গেলো-বৃদ্ধের

লবণ-নিয়ে-দুই-পরিবারে-ঝগড়া-প্রাণ-গেলো-বৃদ্ধের

গাজীপুরের শ্রীপুরের একমুঠো লবণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পরিবারের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে হাবিবুর রহমান নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। রোববার মাওনা ইউপির কপাটিয়াপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমির হোসেন।

নিহত হাবিবুর রহমান কপাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইন্নস আলীর ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবুর রহমানকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত হাবিবুর রহমানের মেয়ের জামাই মো. ওয়াসিম বলেন, ঝগড়াঝাঁটির মাঝখানে উপস্থিত হয়ে তিনি দুই পক্ষকে থামাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এখন নিজের জীবনটাই চলে গেল।

ওয়াসিম আরো বলেন, নিহতের স্বজনরা এই ঘটনায় মামলা করবেন কি না তা সিদ্ধান্ত নিবেন। রোববার বিকেল পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা এ বিষয়টি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।

নিহতের স্বজনরা বলেন, হাবিবুর রহমানের পুত্রবধূ ঝর্ণা ও পাশের বাড়ির সেলিনা একই কারখানায় চাকরি করেন। শনিবার দুপুরে কারখানায় থাকা অবস্থায় দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় লবণ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বাড়িতে এসে রোববার সকালে আগের ঝগড়ার জেরে আবারো তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে শফিকুল, সেলিনা, হ্যাপী ও সুফিয়া ঝর্ণার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি শুরু হলে হাবিবুর রহমান তাদের দুই পক্ষকে শান্ত করতে চেষ্টা করেন। এ সময় দুপক্ষের ধস্তাধস্তির মাঝখানে পড়ে গলায় থাকা গামছায় প্যাচ লেগে মাটিতে পড়ে আহত হন। এরপর তার জ্ঞান হারিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মালিহা বিনতে মোস্তফা বলেন, হাবিবুর রহমানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী