মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যেসব নারীর গর্ভধারণে সমস্যা হচ্ছে, তাদের জন্য ‘ফার্টিলিটি ডায়েট’

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২২ ১১ ১১ ০২  

যেসব-নারীর-গর্ভধারণে-সমস্যা-হচ্ছে-তাদের-জন্য-ফার্টিলিটি-ডায়েট

যেসব-নারীর-গর্ভধারণে-সমস্যা-হচ্ছে-তাদের-জন্য-ফার্টিলিটি-ডায়েট

যেসব নারীর গর্ভধারণে সমস্যা হচ্ছে, চিকিৎসকরা তাদের জন্য ফার্টিলিটি ডায়েট করার পরামর্শ দেন। এই ডায়েটের জন্য দৈনন্দিন যেসব খাবার খান, তাতে সামান্য রদবদল আনলেই হয়ে যায়। ভাত–ডাল–রুটি–পাস্তা তো এমনিই খাচ্ছিলেন, সেগুলোকে ‘হোল গ্রেনে’ বদলে ফেলুন।

অর্থাৎ লাল বা বাদামি চালের ভাত, খোসাওলা ডাল, আটার রুটি, হোল গ্রেন পাস্তা–নুডুলস ইত্যাদি এগুলো খাবার তালিকায় যুক্ত করুন। অপকারি ফ্যাটযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে উপকারী খাবারের দিকে মন দিতে হবে। মাছ–মাংস–ডিমের পাশাপাশি ডাল–ছোলা–দুধ জাতীয় নিরামিষ প্রোটিন খেতে হবে। মাছ-মাংসও খান। মাঝে মধ্যে এক–আধ স্কুপ আইসক্রিমও খেতে পারেন। 

‘নার্সেস হেল্থ স্টাডি’ নামের স্টাডিতে ৮ বছর ধরে ৮ হাজার বন্ধ্যা নারীর উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তবে বিজ্ঞানীরা এই ডায়েট বানিয়েছেন।  ফার্টিলিটি ডায়েট খেলে ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণগত মানের উন্নতি হয়। আশঙ্কা কমে হাই কোলেস্টেরল–প্রেশার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক জাতীয় অসুখবিসুখের। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ডিম্বাণুর ক্ষতি করা থেকে শুরু করে হাইকোলেস্টেরল, হৃদরোগ, স্ট্রোক এসব কিছুর মূলে আছে ট্রান্স ফ্যাট। অতএব যে কোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার, বেক্ড খাবার, খাওয়ার আগে দুইবার ভাবুন। 

অতএব বিভিন্ন সবজিজাত তেল— যেমন সরিষা, সূর্যমুখী, সয়াবিন, অলিভ ইত্যাদি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ, অ্যাভোক্যাডো, ঠাণ্ডা পানির মাছ বিশেষ করে স্যামন, সারডিন, ইলিশ খান মাপ মতো। স্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার যেমন ঘি–মাখন, ডিমের কুসুম, তৈলাক্ত মাংস ইত্যাদি খান কম।

পর্যাপ্ত পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খান। মাছ–মাংস–ডিমের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখুন মটরশুঁটি, সয়াবিন, পনির, বাদাম, বীজ ছোলা, রাজমা ইত্যাদি। উপকারী কার্বোহাইড্রেট খান। দুধ খান মাখন না তুলে , অর্থাৎ স্কিম্ড দুধের বদলে খান ‘হোল মিল্ক’। ফুল ফ্যাট ইয়োগার্ট, এমনকি মাঝেমধ্যে আইসক্রিমও। 

মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট বিশেষ করে ফোলিক অ্যাসিড, দিনে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম করে। ডিম্বাণুর মান উন্নত করে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে এর ভূমিকা আছে। এছাড়া ওজন খুব বেশি বা খুব কম থাকলে পিরিয়ডের সমস্যা হতে পারে। কাজেই ওজন যথাসম্ভব ঠিক রাখার চেষ্টা করুন।  সঠিক খাবার খেয়ে ও হালকা ব্যায়াম করে ধীরে ধীরে ওজন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করুন। ব্যায়াম করতে হবে। তবে মাত্রা রেখে দিনে ৪০–৪৫ মিনিট। 

সূত্র: ইটরাইট.কম

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী