বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাদক মামলায় পরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

মাদক-মামলায়-পরীর-বিরুদ্ধে-সাক্ষ্যগ্রহণ-শেষ

মাদক-মামলায়-পরীর-বিরুদ্ধে-সাক্ষ্যগ্রহণ-শেষ

মাদক আইনের মামলায় ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী মজিবুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। 

পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। মামলায় জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর মামলার বাদী মজিবুর রহমানকে পুনরায় জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষ হওয়ায় আগামী ১৩ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য হয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহাবুবুল হাসান আসামি পরীমনিকে হাজির করার জন্য আবেদন করেন।

তিনি আদালতকে বলেন, প্রেগন্যান্ট থাকায় পরীমনির পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দিতেন। এখন তিনি মা হয়েছেন। তাই আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ধার্য তারিখে তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার আবেদন করছি।

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, মাসখানেক হলো পরীমনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। তাছাড়া সরকারিভাবেও মাতৃত্বকালীন ছুটি তো ছয় মাস। তিনি সুস্থ হলে আদালতে হাজিরা দেবেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করেন।

গত ১২ মে পরীমনির আইনজীবী ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত ২ জুন আদালত পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করেন।

২০২১ সালের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুম থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরদিন র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমনিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এই মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী