বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মধুমতি নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচে লাখো মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২২ ২২ ১০ ০১  

মধুমতি-নদীতে-ঐতিহ্যবাহী-নৌকা-বাইচে-লাখো-মানুষের-ঢল

মধুমতি-নদীতে-ঐতিহ্যবাহী-নৌকা-বাইচে-লাখো-মানুষের-ঢল

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ঝামা বাজার সংলগ্ন এলাকায় মধুমতি নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝামা বাজার এলাকায় হাজারো দর্শকের আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হয়। এর আগে মহম্মদপুর-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট শ্রী বীরেন শিকদার নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। প্রতি বছর দুর্গাপূজার দশমীর পরদিন ঐতিহ্যবাহী এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতা শুরুর আগ মুহূর্তে মধুমতি নদীর দুই পাড়ে নামে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন বয়সী লাখো মানুষের ঢল।

আয়োজক কমিটির সভাপতি এম রেজাউল করিম চুন্নুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ড. তরুণ কান্তি শিকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল, মেলার আয়োজক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন এবং মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় প্রমুখ।

ওই এলাকার বাসিন্দা সোহেল আলম তুষার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মধুমতি নদীতে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসবের পরদিন নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তাছাড়া এই অঞ্চলে এক সপ্তাহ আগে থেকেই চলে গ্রামীণ মেলার প্রস্তুতি। এ বছর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় ৫টি নৌকা অংশ নিয়েছে। এখানে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে নৌকাগুলোর। প্রতিটা নৌকা ৪০ থেকে ৬০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। তারা প্রায় ৫ কিলোমিটার নদীপথ অতিক্রম করে বিজয় সীমানা অতিক্রম করেন।

ছবি: দৈনিক প্রভাতীমাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রামনন্দ পাল বলেন, অনেক বছর ধরে মহম্মদপুর ঝামা এলাকায় হয়ে আসছে নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা। প্রতি বছর এ নৌকাবাইচ উৎসবে মহম্মদপুরবাসীসহ জেলার বাইরে থেকে অসংখ্য মানুষের  মধুমতি নদীর দুই পাড়ে হাজির হন। বিশেষ করে মাগুরা জেলার পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙা এলাকার অধিকাংশ মানুষের ঢল নামে এ উৎসবে। এ উৎসবকে ঘিরে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসে গ্রামীণ মেলা।

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আগত অতিথিরা।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী